ইসলাম ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় চারটি জায়গায়।
চারটি জায়গাতেই ইসলামী আলোচনার টার্গেট পপুলেশন হচ্ছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ। এই জনগণের বৃহৎ অংশ ধর্মভীরু হলেও ধর্ম সম্পর্কে তারা যথেষ্ট অজ্ঞ এবং মারাত্মক জ্ঞান স্বল্পতায় ভুগছে।
ধর্মকে সহ্য করতে পারে না কিংবা ধর্মের সামগ্রিকতা স্বীকার করে না এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। জাতীয় শিক্ষার বৃহদায়তনে , গণমাধ্যমে , আইন-আদালতে , সাংস্কৃতিক পাড়ায় তো ইসলামের ছিটে ফোঁটা ও নাই।
এদেশে মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে হালাকিয়্যতের (!) সার্টিফিকেট নিয়ে উঠে আসা একদল মাদ্রাসা ছাত্র যারা নিজেদের অদম্য মেধা, এক্সট্রাঅরডিনারি সাধনা ও বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবাহে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত , অচ্যুত , অস্পৃশ্য হয়ে থাকে। হিজাব পরিহিতা ছাত্রীদের ক্লাসে ও বন্ধুমহলে বিব্রত হতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আইডেন্টিটির কারণে এদেরকে শুধুমাত্র জঙ্গী বলার সাহস কেউ করে না। এই প্রিভিলেজটুকু এরা পায়। এর বাহিরে যেসব মাদ্রাসা পড়ুয়া হুজুর ছেলেরা, পর্দানশীন মেয়েরা মুভমেন্ট করে তাদেরকে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা অন্যায় ভাবে জঙ্গি সন্দেহ করে।
বাংলাদেশের সমাজে মাদ্রাসা ছাত্র কিংবা সাধারণ হুজুররা সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। মাদ্রাসা পড়ুয়ারা সর্বত্র সহজে প্রবেশাধিকার পায় না। তারা নিজদেশে পরবাসীর মত এক ধরনের হীনমন্যতায় বসবাস করে।
আমি একটা ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি এ থেকে বিষয়টা অনুমান করা যাবে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র লোকাল বাসে স্টুডেন্ট ভাড়া দিতে চাইলে হেলপার ভ্রু কুঁচকে বলে- "হুজুর আবার কিয়ের ইস্টুডেন্ট? "
এ তো গেলো মোটামুটি সমাজ সংস্কৃতিতে! রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের অবস্থান কোথায়?
বাংলাদেশে ইসলামকে আদর্শ ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি করে এমন দলের মধ্যে বড় দল হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের সর্বশেষ ২০০৮ এর নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৪.৭০ পার্সেন্ট। এরপর জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত নির্বাচনে তারা ২৯৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে ভোট পেয়েছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গতবার যেহেতু দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি তাই এটাকে আমলে নেয়া যাচ্ছে না। এর আগে ১৬৭ আসনে তারা ১.০৫% ভোট পেয়েছিল। ধরা যাক তারা ৩০০ আসনেই সে সময় প্রার্থী দিয়েছিল তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত ভোটের পার্সেন্টেজ হতো সর্বোচ্চ ২ পার্সেন্ট । সাংগঠনিক শক্তিতে যদি তারা দ্বিগুণ অগ্রসরও হয় , তাহলে তাদের সমর্থন আছে ৪ পারসেন্ট। আর বাকি সব ইসলামী দল মিলে ধরলাম ১ পারসেন্ট।
অর্থাৎ রাজনীতিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করা এবং পারস্পরিক যুদ্ধংদেহী ইসলামী দলগুলোকে একত্রিত করে যদি নির্বাচনে আনা যায় তারপরও টেনে টুনে ভোট পাবে ১০ শতাংশ।
বাংলাদেশের কওমী ও আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে যারা তারা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের কত শতাংশ?
এটা বুঝতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর নিম্নোক্ত পরিসংখ্যান দেখুন -
দেশের ১৪ হাজার কওমি মাদ্রাসায় পড়ছে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। সেখানে সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সাড়ে ৩১ লাখ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য মতে বাংলাদেশে মোট সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬০১টি। যেখানে পড়াশোনা করছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩৮জন শিক্ষার্থী। এমপিওভুক্ত ৩০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী।
এই পরিসংখ্যানগুলো থেকে বুঝা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুপাতে মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের আনুপাতিক সংখ্যা খুবই নগণ্য ।
এই হচ্ছে মোটামুটি বাংলাদেশে ইসলামপন্থার এবং ইসলামের প্রতি মানুষের সমর্থনের, ইসলাম নিয়ে অধ্যয়নের এবং ইসলামের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার কিছু চিত্র।
এমন একটা ইসলামবিমূখ সমাজে ইসলামপন্থীদের দরকার ছিল যে কোনোভাবে ৯০ ভাগ মানুষকে সর্বাগ্রে ইসলামের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। সেটা যেকোন ইসলাম হতে পারে।
সেটা দেওবন্দী ইসলাম, মওদুদী ইসলাম, লা-মাযহাবী ইসলাম, চরমোনাই ইসলাম, জমিয়ত ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম, শাসনতন্ত্র ইসলাম, খেলাফত ইসলাম, মজলিস ইসলাম, ফুরফুরা ইসলাম, শর্ষিনা ইসলাম, মাদানী ইসলাম , ওহাবী ইসলাম,সুন্নী ইসলাম, আজহারী ইসলাম, সিদ্দিকী ইসলাম , আহলে হাদিস ইসলাম । সহীহ হাদিস ইসলাম, রক্ষণশীল ইসলাম, লিবারাল ইসলাম, সাঈদী ইসলাম , আমিনী ইসলাম, কওমী ইসলাম, আলিয়া ইসলাম, জিহাদী ইসলাম, তাবলিগী ইসলাম, এতাআতী, ওয়াজহাতী, সূফীবাদী- যাই হোক না কেন ।
মানুষ যে কোন ইসলামের প্রতি ঝুঁকে যাক। যেকোনো ইসলামের সাথে লেগে থাক , যেকোনো দরবার যেকোনো ওয়ায়েজের অনুসারী হয়ে যাক , যেকোনো দলের কর্মী সমর্থক হয়ে যাক - এটাই হওয়া দরকার ছিল প্রকৃত দীনের দাঈর চাওয়া ও চেষ্টা । কিন্তু ইসলামপন্থীরা আসলে করছে কি? প্রত্যেকে কমন ইসলামের প্রতি মানুষকে আহ্বান করার পরিবর্তে নিজেদের তৈরি করা প্ল্যাটফর্ম ও অডিয়েন্সের সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে ।
আর এখানে যখন তার মতের বাইরে, তার দলের বাইরে, তার অনুসৃত ত্বরীকার বাইরে কিংবা সে যেটা শিখে এসেছে সে ধারণার বিপরীতে যখন কেউ একজন দাঁড়িয়ে যায় তখন তাকে কোন স্পেসই সে দিচ্ছে না। তাদের কাছে মানুষকে ইসলামের প্রতি আহবান করার পরিবর্তে হক, হক্কানিয়ত, আহলে হক, সহীহ হাদিস, এসব বুঝানো যেন অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেন?
মানুষ ইসলামের প্রতি আগ্রহী হওয়ার পূর্বেই আপনি তাকে আহলে হক ,আহলে বাতিলের গরম গরম তাত্ত্বিক কথা কেন শোনাচ্ছেন?
মানুষকে নামাজের প্রতি আহ্বানের পরিবর্তে বিতর এক রাকাত না তিন রাকাত এসব মাসআলা কেন আলোচনা করছেন ?
ইউটিউব শায়খদের সহীহ বয়ানের ফল দাঁড়িয়েছে এই ; বুখারী - মুসলিমের নির্দিষ্ট কিছু হাদিসের অনুবাদ মুখস্থ করে একটা গ্রুপ বের হয়েছে সারাদিন হানাফীদের মুসলমান বানানো (!) যেন তাদের একমাত্র মিশন। আপনাকে এই আহলে হাদিস, সহীহ হাদিস, আহলে হকের ঠিকাদারি কে দিল?
যুগের শ্রেষ্ঠ মুজতাহিদরা তাদের ইজতেহাদী মতামতের ক্ষেত্রে নিঃসংকোচে এই ঘোষণা দিয়ে রাখেন- "ভুলের সম্ভাবনাসহ আমারটা কে সঠিক মনে করি তবে বিপরীতটাও সঠিক হতে পারে " এটা মুজতাহিদদের একটি সর্বসম্মত উসুল ।
ইজতিহাদের ক্ষেত্রে তাদের শিষ্টাচার দেখুন। নিজের মতামতকে তিনি সঠিক মনে করছেন ঠিকই আবার এটাও স্বীকার করছেন এতে ভুলের সম্ভাবনা রয়েছে। বিপরীতটাও সঠিক হতে পারে ।
আর আপনি মানতে চান না যে, আপনার ভুল হতে পারে । আপনাকে ভুল ধরিয়ে দিলে আপনি হাজার হাজার ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন । আপনি ভিন্ন মতাবলম্বী কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন । তার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । এলেম হাসিল এর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । কেন?
ধর্ম নিয়ে আপনাদের এত জমিদারি কেন? ধর্মকে প্রচার করার, ব্যাখ্যা করার, একমাত্র ঠিকাদারি কি আপনার? নিজের মতামত এবং নিজের দৃষ্টিভঙ্গি কে একান্ত হক বলে অন্যগুলোকে ধূলায় উড়িয়ে দেন কেন?
আপনারা তো মাঠে ময়দানে দাঈর কাজ করেন, একদম সাধারন মানুষদের নিয়ে হক- বাতিলের, মুসলিম সম্প্রদায়গুলোর মতভেদ পূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এমন ইজতেহাদী আলোচনার আসর কেন বসান ?
এই হকের ঠিকাদারি আপনি কি করে ফেলেন ? এবং মুজতাহিদের উপর মুজতাহিদ হয়ে নিজের মতামতকে এভাবে একশভাগ সহীহ শুদ্ধ মনে করার দুঃসাহস আপনি কোথায় পেলেন? ইসলামের আলোচনা প্রচার প্রসারের ক্ষেত্রে মনে হয় যেন আপনারা একেকজন একেকটা জমিদারী নিয়ে বসে আছেন ।
এই অঙ্গনে ভিন্ন কাউকে সহ্যই করতে পারেন না! কেউ কুফরীর দোকান খুলে বসে যাকে তাকে কাফের বানিয়ে দিচ্ছেন? কেউ কিছুদিন পর পর বিদেশে বসে লাইভে এসে দেশের কালচারাল সেনসিটিভিটি বিবেচনা না করেই এখতেলাফি মাসআলাগুলোকে সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন?
সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিচ্ছেন? মানুষকে দিশা দেয়ার পরিবর্তে দিকভ্রান্ত করে দিচ্ছেন। একেকজন জনপ্রিয়তার ও লোকসমাগমের প্রতিযোগিতা করছেন। পরস্পর শিষ্টাচারবহির্ভূত শব্দ প্রয়োগ করছেন।
কেন ওস্তাদ? কেন শায়খ ? মানুষকে আগে ইসলাম চেনান দ। তারপর হক-বাতিলের উচ্চতর আকিদাগত আলোচনায় যাইয়েন । মানুষকে আগে নামাজী বানান । তারপর রফয়ে ইয়াদাইনের সহীহ হাদীস দেখায়েন। আগে মানুষকে ফরজের উপর নিয়ে আসেন । তারপর বিতর, ইল্লাল্লাহ যিকির আছে কি নাই, সহীহ হাদীস-যঈফ হাদিস শেখায়েন ।
বিশ্বাস করেন , ইউটিউবে যখন পোলাপাইন আপনাদের একেকজনকে ধরে ধরে রোস্ট বানায় ধর্মপ্রাণ মানুষ আহত হয়। ইসলাম একটা হাস্যরসে পরিণত হয়। দীনের দাঈ হিসেবে আমরা আপনাদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা করি ।
এদেশের দিনমজুর, রিকশাচালক, অশিক্ষিত- স্বল্প শিক্ষিত মানুষ যেমন কোন একজন আলেমের ভক্ত । এদেশের উচ্চশিক্ষিত পদস্থ কর্মকর্তারাও কোন আলেমের প্রতি দুর্বল থাকতে পারেন । আপনারা যদি একে অন্যকে স্পেস দেন, একে অন্যের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেন, তাহলে কিন্তু সমাজের শিক্ষিত -অশিক্ষিত সব শ্রেণীর মানুষ অনায়াসে এক হয়ে যায় ।
দ্বিধাবিভক্ত সমাজটাকে আপনারা আরো বেশি দ্বিধাবিভক্তির দিকে ঠেলে দিবেন না। এটা আমাদের করজোড় অনুরোধ ।
আপনি যেই মাসআলাটি দশ বছর ধরে অধ্যায়ন করে বুঝেছেন সেটাকে ১০ মিনিটের একটা লাইভ ভিডিওতে ছেড়ে দিবেন না। মিশর মধ্যপ্রাচ্যের অনুসৃত মাসলাক এই সমাজে এনে ছেড়ে দিবেন না ।
আপনার ইলেমের সবটুকু পাণ্ডিত্য জাহির করার জায়গা ওয়াজ মাহফিল না। মানুষ উসূল বুঝেনা। তাতবিক বুঝে না। সনদ ও মতন বুঝে না। সেকাহ্- জবত কি জানে না। ফলে হরেকরকম ইখতেলাফপূর্ন মাসআলা শুনে সে বিভ্রান্ত হয়। নিরাশ হয় । ইসলাম সম্পর্কে সন্দেহের উদ্রেক হয় তার মনে।
একজন ডাক্তার মেডিকেল কলেজের ক্লাসে স্টুডেন্টদের কাছে সব ওষুধের বিস্তারিত কার্যকারিতা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উপাদান ইত্যাদি তুলে ধরতে পারে । কিন্তু একজন রোগীর কাছে কি সব ওষুধের পরিচিতি কার্যকারিতা কখনো সবিস্তারে বর্ণনা করে?
নির্দিষ্ট রোগের জন্য তাকে যখন যে মাত্রায় যতটুকু ওষুধ প্রয়োগ দরকার ডাক্তার কিন্তু তাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন । ডাক্তার রোগীর সামনে কখনো তার ডাক্তারী বিদ্যার বিশাল পাণ্ডিত্য প্রকাশ করেন না। আপনি জানলেই কি সবকিছু সবার কাছে বলে দিবেন ?
তাহলে আর একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলো কি জন্য? ওয়াজের ময়দানে সিয়া সিত্তাহ নিয়ে যান। তাফসীরে বায়যাভী যামাখশারী জালালাইন খুলে মানুষজনকে পড়ানো শুরু করেন দ। হেদায়া নাহু সরফ এগুলোও শেখান মানুষকে। আকিদাতুত তাহাবী খুলে বসুন ।
হাফেজ্জী হুজুর র, এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, "আগে আমরা ইসলামী আদালত কায়েম করি । তারপর না হয় শিয়া- মওদুদী- বেরলভীদের বিচার করব ।"
ইমাম হাসান আল বান্না (র) কে খুব মনে পড়ছে । তিনি বলেছিলেন -
"نحن دعاة لسنا قضاة"
আমরা কেবল দাঈ, ফয়সালা দেয়ার বিচারক না ।
মুশকিল হচ্ছে, কোনটা দাওয়াতের মঞ্চ, কোনটা বিচারের মঞ্চ, আর কোনটা রাজনীতির মঞ্চ এটাই তো আমরা বুঝি না। কোনটা আকিদা চর্চার জায়গা , কোনটা হাদিস শেখানোর দরসগাহ্, কোনটা মাসআলা বর্ণনার জায়গা, এই স্থান- পাত্রের জ্ঞানটুকু আমাদের নাই। আল্লাহ! আমাদের সুমতি দিন ।
লেখক : জিয়া আল হায়দার, কলামিস্ট ও বিশ্লেষক, সাবেক কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ।
এই লেখকের আরও লেখা পড়ুন -
ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ আল কারযাভী : ইসলামী পুনর্জাগরণে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি
প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় কি আছে কি নাই
করোনায় মসজিদ ভিত্তিক ত্রাণ কার্যক্রম : নামাজের ইমাম হোক সমাজের ইমাম
ইসলামী শরিয়ায় নারী : তরুণ দুই বিশ্লেষকের মতামত
সহীহ হাদীসের অহমিকা বনাম ইসলামপন্থীদের প্রকৃত অবস্থান
#এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস