স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংগঠন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন।
আজ সোমবার এসোসিয়েশনের জরুরি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে দেশের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন’ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল বাকী স্যারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা সম্পাদক মোঃ মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব জনাব মোঃ মিজানুর রহমান সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমান প্রমুখ।
সভা শেষে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন’ এর পক্ষ থেকে আগামীকাল ৩ জুন দেশের সকল ডিসি, সংসদ সদস্যদের একযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৭ই মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর অফিস খোলার নির্দেশনা দেয়া হলেও কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে তার কোনো নির্দেশনা দেয়নি সরকার।
করোনা ভাইরাস প্রকপে দেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোও বন্ধ রয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এ স্কুল গুলো। অনেকের আয়ের উৎস ছিলো কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো । এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা নির্বাহ জড়িত।
বারবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া এখনো মেলেনি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রণোদনা পাবার আশ্বাস দেয়া হয়নি তাদের ।
ফলে দেশের ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন এর সাথে সম্পৃক্ত ৪০ হাজার পরিচালক এর সঙ্গে প্রায় ৬ (ছয়) লক্ষাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা এর সাথে সম্পৃক্তসহ অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
বিগত প্রায় তিন মাস যাবৎ স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় অনেকেই ঋণগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্ডারগার্টেনে সম্পৃক্ত এ সকল লোকদের খেয়ে পড়ে থাকাই এখন হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে। অনেক স্কুল টিকিয়ে রাখতে পরিচালকদের হিমশিম অবস্থা।
সরকারের কাছে দুটি দাবি জানান তারা। দাবি দুটি হলো: ১. স্বাস্থ্য বিধি মানার শর্তে অতিসত্বর স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এবং ২. কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য সহজ বা বিনা সুদে ব্যাংক লোনের দাবি করা হয়।
এনএইচ/পাবলিক ভয়েস/এসএস