ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরী খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ বিতরণ করেছে আলেমদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন।
৩১ মে রবিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ও আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করে ফাউন্ডেশনটি। বেরীবাঁধের বালি ভরাটের জন্য প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দুইহাজার বস্তাও প্রদান করে তারা। এর আগে লাগাতার দুইদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।
[caption id="attachment_78595" align="aligncenter" width="390"] আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ইকরামুল মুসলিমীনের ত্রাণ বিতরণ। ছবি : পাবলিক ভয়েস[/caption]
সংগঠনের আহ্বায়ক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন— আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেছি। বেরীবাঁধ ভেঙে গেছে। মানুষের ঘরবাড়ি দুমড়েমুচড়ে গেছে। চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছে পরিবারগুলো। এখন পর্যন্ত বলার মতো তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি অনুদানও সেখানে পৌঁছেনি। মানবেতর জীবনযাপন করছে উপকূলবাসী।
তিনি আরো বলেন— সুন্দরবনের কারণে কিছু এলাকা সামান্য রক্ষা পেলেও বেশিরভাগ এলাকাই বিধ্বস্ত হয়েছে। চিংড়িঘের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। জোয়ারের পানি বিপদসীমা পেরোনোয় মাছ ভেসে গেছে। নোনা পানির কারণে ফসলাদি নষ্ট হয়ে গেছে অনেকের।
[caption id="attachment_78596" align="aligncenter" width="390"] ইকরামুল মুসলিমীনের ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ কার্যক্রম।[/caption]
জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের স্বেচ্ছাশ্রমে এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে বেরীবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে শ্যামনগর ও আশাশুনির ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায়। তবে সেটা পর্যাপ্ত নয়, জোয়ার এলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। সরকারীভাবে বেরীবাঁধের দাবি স্থানীয়দের। ইকরামুল মুসলিমীনের পক্ষ থেকে বেরীবাঁধের জন্য দুই হাজার বস্তা দেওয়া হয়।
ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে থাকায় সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়া পরিবারগুলো রাস্তায় ঠাঁই নিয়েছে। এমন একহাজার পরিবারকে খাদ্যসাসগ্রী ও ১০০ বাথরুম করে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ইকরামুল মুসলিমীন। এ ছাড়াও শ্যামনগরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ত্রাণের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র ঘূর্ণিঝড় আম্পান তহবিলে নগদ অর্থ প্রদান করে তারা।
ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ’র নেতৃত্বে আব্দুর রহমান কোব্বাদী, এহসান সিরাজ, সিরাজুল ইসলাম আকন, সাব্বির মাজহারী ও মনযূরুল হক-সহ স্থানীয় নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ত্রাণকার্য পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য : ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন করোনাকালে লকডাউনের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরী খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, স্প্রে, জনসচেতনতায় মাইকিং, নগদ অর্থ বিতরণ, ৩ দফা রমজান প্যাকেজ, ঈদ প্যাকেজ ও রান্নাকৃত খাবার— ইফতার-সাহরী বিতরণ করেছে। সারাদেশে ৭০টি টিমের মাধ্যমে করোনায় মৃতের কাফন-দাফনের কাজও চলমান আছে তাদের। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, হিজরা কিংবা বেদে, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্যই কাজ করছে ফাউন্ডেশনটি।
#আরআর/পাবলিক ভয়েস