
দুর্যোগের সময় ত্রাণ দিতে গিয়ে মানুষের অসহায়ত্ব দেখে অনেকেরই মন কাঁদে। কিন্তু এতটা ‘মানবিক’ হওয়ার গল্প দেখা যায় না যে, কোনো ত্রাণদাতা বিয়ে করে ফেলেছেন রাস্তায় ভিক্ষা করা মেয়েটিকে (লকডাউনের কারণে মেয়েটি ভিক্ষাও করতে পারছিল না, টিকে ছিল ত্রাণের ওপর)। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের কানপুরে।
অনিল গাড়ি চালায়, আয়-রোজগার ভালোই। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বন্ধুরা মিলে অসহায় মানুষকে সাহায্য করার জন্য একটা দল গঠন করলেন। নিজেদের পকেটের টাকার পাশাপাশি চাঁদা তুলে ত্রাণ পৌঁছে দিতেন দুস্থ মানুষদের দুয়ারে দুয়ারে। এভাবেই একদিন পরিচয় হয় নীলাম নামের একটি মেয়ের সঙ্গে, লকডাউনের আগে যে মায়ের সঙ্গে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতো। এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না।
বাবা মারা যাওয়ার পর ভাই-ভাবী নির্যাতন করে মা ও মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তারপর দিনের বেলা ভিক্ষা আর রাতে রাস্তার পাশে শুয়ে থেকেই তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল। মেয়েটির এসব দুঃখের গল্প শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারলেন না অনিল, সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। কিন্তু এমন বিয়েতে অনিলের বাবা কোনোভাবেই মত দেবেন না। অনেক অনুরোধের পর ছেলের মহানুভবতায় মুগ্ধ হলো বাবাও।
লকডাউনের ভেতর সামাজিক দূরত্ব মেনেই বিয়ে হয়ে গেল। ফুটপাত থেকে নীলাম উঠে আসলেন স্বামীর মস্তবড় ঘরে, যা কোনোদিন কল্পনাও করেননি। সঙ্গে মাকে নিয়ে আসতেও ভুললেন না।
এমএম/পাবলিকভয়েস