পবিত্র রমজান মাস জুড়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ করে আসছে ‘এস.এম.সি.এইচ স্টুডেন্টস ক্লাব’। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেও চলে তাঁদের এই কার্যক্রম চলছে ধারাবাহিকভাবে।

এছাড়াও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই তাঁরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ সহ করোনা সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম করে আসছিলো।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের খাদ্যের যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন দৈনন্দিন বিভিন্ন ঔষধের। আর এই উপলব্ধি থেকে তাঁরা শুরু করে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ। প্রায় ৫০ টি পরিবার হতে ব্যাবস্থাপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে তাঁদের প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে নিশ্চিত করা হয়।

চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বড় সন্তান তরুণ রাজনীতিবিদ জনাব ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, ‘চলমান মহামারীতে এস.এম.সি.এইচ স্টুডেন্টস ক্লাবের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে ভাসমান মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। স্টুডেন্টস হওয়া সত্ত্বেও তারা নিজেদের উদ্যোগে ক্ষুদ্র প্রয়াসে মানবসেবা করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে আসছে এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আসুন সংকটময় মুহুর্তে মানুষের পাশে থাকি। আমি এস.এম.সি.এইচ স্টুডেন্টস ক্লাবের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি ও অন্যদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।’

সামাজিক এসব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সংগঠনটি বহু মানুষের প্রয়োজনীয় 'রক্তের' সংগ্রহ ও যোগান দিয়ে চলেছে। করোনা সময়কালে ও পবিত্র রমজান মাসেও চলছে এই কার্যক্রম। সাউদার্ন মেডিকেল শিক্ষার্থী দ্বারা পরিচালিত এই এসএমসিএইচ স্টুডেন্টস ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য মানুষের সেবা করা।

এ সম্পর্কে ক্লাবের সদস্য আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন,‘আমরা এই করোনা মহামারীতে ক্ষুদ্র পরিসরে নিজস্ব অর্থায়নে পবিত্র মাহে রমজান মাসে বিগত ১১ দিনে প্রায় ৫৫০ হত দরিদ্র পথচারীদের ইফতার বিতরণ করে আসছি। এই মহৎ কাজে যারা আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছেন যাদের কথা না বললেই নয়, আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা, ক্লাবের মেম্বাররা এবং সাউদার্ন মেডিকেলের শিক্ষার্থীদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

আরেক সদস্য সাকিবুল ইসলাম বলেন,‘এই করোনা দুর্যোগে গরীব মেহনতী মানুষের খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি জরুরী ঔষধও প্রয়োজন এই চিন্তা থেকে আমাদের ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ডাঃ রিয়াজউদ্দীন বিপ্লব প্রায় ৫০ টি গরীব ও অসহায় পরিবারকে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করেছেন একইসাথে তিনি টেলিমেডিসিন সেবাও দিয়ে যাচ্ছেন।’

/এসএস