হাতিয়া প্রতিনিধি : নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় দমকা বাতাস, ভারী বর্ষণ ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। তলিয়ে গেছে হাতিয়ার জনপদ ও ফসলি মাঠ ।
উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের একটি স্থানে আধা কিলোমিটার, নলচিরা ইউনিয়নের দুটি স্থানে এক কিলোমিটার, চরকিং ইউনিয়নে আধা কিলোমিটার ও তমরুদ্দি ইউনিয়নের ভাঙ্গা বাঁধ মেরামত না করায় ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে বুধবার রাতে শতাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় চরম দূর্ভোগে রয়েছেন।
সোনাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, হৈক বাজার এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় শতাধিক মাছের ঘের, ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বুধবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম। তিনি আরও জানান, গতকাল বিকেলে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নদীর পানি ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেড়িবাঁধ ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে জোয়ারের পানিতে গ্রাম গুলোতে সহজে প্লাবিত হচ্ছে। বেড়িবাঁধ গুলো নষ্ট থাকার কারণে গ্রাম প্লাবিত হয়ে পরবর্তীতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
অভিযোগ রয়েছে, সেসব এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের নির্দেশে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যান। কিন্তু তা বন্ধ থাকায় তারা ফিরে আসেন।
বুধবার (২০ মে) বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ সোনাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বিরবিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কে এ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুখচর মজহারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরচেঙ্গা আল-হাবীব সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সবগুলোতেই তালা ঝুলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানান, করোনা পরিস্থিতির আগ থেকেই এসব আশ্রয়কেন্দ্র যেমন তালাবদ্ধ ছিল, এখনও তেমনি আছে। কেউ আসেনি, পরিষ্কারও করেনি। এমতাবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে এসে তালাবদ্ধ পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে এসব এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকার লোকজনকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া মাইকিং করে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের আশপাশে দপ্তরি আছে। লোকজন আসলে আশ্রকেন্দ্র খুলে দেয়া হবে।
আরআর/পাবলিক ভয়েস