
ধেয়ে আসছে ‘সুপার সাইক্লোন’ আম্পান। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উপকূলের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। সাতক্ষীরাসহ কিছু এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।
বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যার মধ্যে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনের অতি কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোর চর ও দ্বীপের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ১০-১৫ ফিট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বোসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরো উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিয়েছে। বিকেল ৩টার পর থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় আঘাত হানবে সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে। এসময় বাতাসের গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই উপকূলের অধিকাংশ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাবার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের।
এমএম/পাবলিকভয়েস