অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ঈদের কেনাকাটায় স্বাস্থবিধি না মানা ও করোনা ঝুঁকিতে জেলার দুই উপজেলা রায়পুর ও রামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এই অবস্থায় পূর্বের ন্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, কাঁচাবাজার সীমিত পরিসরে এবং ঔষধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।
এদিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারনে আজ থেকে (১৪ মে বৃহস্পতিবার) দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ।
বুধবার (১৩ মে) রামগঞ্জ উপজেলা ও গত মঙ্গলবার (১২ মে) রায়পুর উপজেলার দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী।
জেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনিক তৎপরতা থাকলেও জেলা সদরের ও উপজেলা গুলোতে পোশাক বিতান গুলোতে বিধি মানতে নারাজ ক্রেতা-বিক্রেতারা। এমতঅবস্থায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন শেষে ১০ মে জেলা ও উপজেলার প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। ঈদের কেনাকাটার জন্য উপজেলা শহর ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ক্রেতারা বাজারে আসেন। কিন্তু কেউই স্বাস্থবিধি মেনে কেনাকাটা করছেন না। গায়ে গা লাগিয়ে দোকানের ভেতর জটলা সৃষ্টি করে বেচাকেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
রামগঞ্জ উপজেলা রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, সামাজিক দুরত্ব বলি আর স্বাস্থ্যবিধি কেউই মানছেননা। না ক্রেতা,না বিক্রেতা। তাই জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্য উভয় বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলায় পূর্বের ন্যায় সকল প্রকার দোকানপাট,শপিং মল ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ আগামী ১৫ মে থেকে বন্ধ থাকবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান, সামাজিক দুরত্ব বলি আর স্বাস্থ্যবিধি না মানায় আজ ১৪ মে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী সমিতিকে দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি পারে তাহলে দোকানপাট খোলা থাকবে না হয় ফের বন্ধ থাকবে।
/এসএস