
শরীয়তপুর প্রতিনধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই বোনকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ভাই বাবুল কাজির (৬০) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রোববার (১০ মে) সন্ধ্যায় সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি পরিবার। এর আগে সকাল ৭টার দিকে ওই উপজেলার নঈমুদ্দিন সরদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত- ওই গ্রামের মৃত খালেদ কাজির মেয়ে নাজমা বেগম (৪০) ও আসমা বেগম (৩৫) ।
ভূক্তভোগি পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সখিপুর থানার নঈমুদ্দিন সরদারকান্দি গ্রামের নাজমা বেগমদের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই বাবুল কাজির দীর্ঘদিন যাবত ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয় নিয়ে এলকায় অনেকবার দরবার সালিশ হয়েছে।
রোববার (১০ মে) সকালে বাবুল কাজির নেতৃত্বে আল আমিন কাজি (২৫), আলমগীর কাজি (৪০), আবু তাহের (২৫), এনা সরকার (৬৫), শাহআলম কাজি (২৭)সহ ১০/১২ লোক মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা সেই জমিতে জোর পূর্বক ঘর তুলে জমি দখল করতে যায়।
তখন নাজমা বেগম ও তার তিন বোন প্রতিবাদ করলে দেশীয় অস্ত্র শাবল, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় বাবুল কাজি। এসময় নাজমা বেগম ও তার বোন আসমা বেগমকে শাবাল ও রড দিয়ে পিটিয়ে এবং কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতদের অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত আসমা বেগমের স্বামী নুরুল হক বেপারী।
হাসপাতালে থাকা আহত নাজমা বেগম বলেন, ১৮ শতাংশ জমি আমরা বাবার। কিন্তু বাবুল কাজিরা সেই জমি দখল করে নিতে চায়। আজ সকালে আমি বলি, আমাদের জমিতে ঘর তুলছেন কেন? বলতেই আমাকে ও আমার বোনকে রড ও শাবল দিয়ে কোপ দেয়। তারপর কি হয়েছে জানি না। জ্ঞান ফিরলে দেখি হাসপাতালে। আমি এ হামলার বিচার চাই।
এদিকে, অভিযুক্ত বাবুল কাজির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পালিয়েছেন বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (ডি অর্থ- হাড় জোড়া বিশেষজ্ঞ) ডা. মো: আকরাম এলাহী বলেন, নাজমার মাথায় গভীর ক্ষত হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাই লেগেছে। আর আসমার বাম হাত ভেঙে গেছে।
সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
/এসএস