ঈদের আগে সব সাংবাদিকদের প্রণোদনা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রবিবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এশিয়ান জার্নালিস্ট সোসাইটি আয়োজিত সাংবাদিক গ্রেফতার, নিপীড়ন, গণ চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ ও বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে সত্য শোনার অভ্যাস করার প্রতি আহবান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণ চান। আর কল্যাণ চাইলে সত্য শোনার অভ্যাস ও মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি জয়যুক্ত হবেন। দেশ জয়যুক্ত হবে। প্রতিটি সাংবাদিককে অন্তত ২০ হাজার করে টাকা দিন। তাহলে তারা শক্তি পাবে, সত্য বলার জন্য বেঁচে থাকবে। আপনাকে গভীরভাবে ভালবাসবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে চায় তারা হলেন সাংবাদিক। গোয়েন্দারা তথ্য দেয়, কিন্তু মনগড়া। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গোয়েন্দারা কী কী আচরণ করেছে সেগুলো থেকে আপনার শিক্ষা নেয়া উচিত। আমি বিশ্বাস করি আপনি দেশের ভালো চান। আর সেজন্য সাংবাদিকদের কথা বলতে দিন। কথা শোনার অভ্যাস করুন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা কার্টুন করে কাদের, যাদেরকে ভালোবাসে তাদের। সুতরাং আপনারা এই ব্যঙ্গকে ভয় পান কেন? তবে আপনি কয়েকটি ভালো কাজের চেষ্টা করেছেন। তার মধ্যে একটি প্রণোদনা, তবে এই প্রণোদনা সত্যিকার অর্থে যারা বড়লোক তারাই পাচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। স্বাস্থ্যবিধির কী হবে তা নিয়ে সরকারের মাথা ব্যাথা নেই। এজন্য আস্তে আস্তে লকডাউন তুলে নিচ্ছে। জনগণের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। এসব তথ্য যেনো সাংবাদিকরা প্রচার না করতে পারে এজন্য সরকার তাদের নানাভাবে নির্যাতন করচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। কাজলকে যেভাবে হাতকড়া পড়িয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। আমি অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এসময় তিনি প্রত্যেক সাংবাদিককে ২৫ হাজার টাকা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এমএম/পাবলিকভয়েস