ঈদ মানে খুশি। আর এ খুশির আমেজের অন্যতম অংশ নতুন পোশাক। ঈদ আগমনে আমরা নতুন পোশাক কিনে থাকি। কিন্তু এবার দেশের পরিস্থিতির চিত্র ভিন্ন। করোনাভাইরাস সমাজের অনেককে অসহায় করে দিয়েছে।
তাই এবছরের ঈদে নতুন পোশাক না কিনে সে টাকায় অভাবী-অনাহারি মানুষের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন-নিসচার এই চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে যাকাত দেওয়া হয়। কিন্তু এবারের দেশ তথা পুরা বিশ্বের পরিস্থিতি পুরো ভিন্ন। করোনাভাইরাসের বিস্তারের ফলে অনেক মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছে।তারা এখন বেকার সময় পার করছে।
যাদের দিনমজুরি টাকায় তিনবেলা আহার জুটতো । কিন্তু লকডাউনের জন্য তারা এখন গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে। এমন অভাবী ও অনাহারি মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়াটাই এখন মানবিক দায়িত্ব বলে মনে করেন চিত্রজগতের অন্যতম এই তারকা।
গতকাল এসব কথা বলেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন-নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ঈদে হাজার হাজার টাকার কেনাকাটা না করে সেই টাকার সমপরিমাণে ত্রাণ সহায়-সম্বলহীন মানুষকে দিন। ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা রয়েছে, রমজান মাসে যদি কেউ ১টাকা দান করে তাহলে ৭০ গুণের বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দীর্ঘদিন সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসা এই অভিনেতা আরো বলেন, গরিব ও শ্রমজীবী মানুষ এখন খেতে পারছে না।
এসব মানুষের ঘরে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছানো দরকার। মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে ও খাদ্যসহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোই এখন আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এই মানসিকতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালে করোনার দুর্যোগ চলে যাবে।
/এসএস