বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে ৭০৯ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩ হাজার ১৩৪ জনে। একই সাথে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৯১ জন। এবং সর্বমোট সুস্থতা ২১০১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মমারা গেছেন ৭ জন এবং সর্ববমোট মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ২০৬ জনে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৭০৭ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৫৯৪১ নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১,১০,৫১৩ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৩৪ জন।
একই সাথে বিভিন্ন জেলায় স্থাপিত হাসপাতাল ও পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ২ হাজার ১০১ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ ই মার্চ করোনা ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। এরপর হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহ ধরে এই আক্রান্তের সংখ্যা ৫শ থেকে ৭শ এর মধ্যে উঠানামা করছে।
করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা এই মূহুর্তে তিন লাখের কাছাকাছি। প্রতিমূহুর্ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এখন পর্যন্ত। এরমধ্যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই ৭৬ হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা।
বাংলাদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিশেষ করে পরীক্ষা যতো বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। বাড়ছে ঝুঁকি।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে দোকান-পাট খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে সাধারণ ছুটি ১৫ তারিখ বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।
করোনাভারাসের নিয়মিত আপডেট প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
সম্মিলিত সংকলিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ আজ (বৃহস্পতিবার ৭ মে) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী, ৩৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৯১ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৮১ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছে ফিরেছেন ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ জন।
এরমধ্যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই ১২ লাখ ৯২ হাজার ৭৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭৬ হাজার ৮০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬৬৯ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুবরণ করেছেন ইতালিতে ২৯ হাজার ৯৫৮ জন এবং সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৯৩ হাজার ২৩১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ১৩ জন।
অন্যদিকে আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা স্পেনে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬১ জন। দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ হাজার ৭০ জন এবং সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৮ জন।
এদিকে মৃত্যু সংখ্যায় স্পেনকে ছাড়িয়ে বরাবরের রয়েছে মতোই যুক্তরাজ্য। মৃতের সংখ্যায় এখন তৃতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপের এ শীর্ষ কর্তা দেশটি। সম্প্রতি একটি সংশোধিত তালিকা প্রকাশের পর দেশটির করোনা চিত্রের এ পরিবর্তন ঘটেছে।
দেশটিতে এখন মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৬১৫ জন। আক্রান্ত সংখ্যা ২ লাখ ৬ হাজার ৯৯০ জন। দেশটিতে আক্রান্তের পর সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৩৪৪। গত বুধবার (২২ এপ্রিল) সংশোধিত হিসাব প্রকাশের আগেও দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ছিলো ২১ হাজার ৬৭৮ জন।
যুক্তরাজ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারী করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই প্রকাশ করা হয়। হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন কেয়ার হোম বা অন্যান্য জায়গায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয় সাপ্তাহিকভাবে। সর্বশেষ গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) কেয়ার হোমসহ অন্যান্য জায়গায় মারা যাওয়া করোনা রোগীদের সংখ্যা যোগ করার পর যুক্তরাজ্যের করোনা চিত্রের রাতারাতি এ পরিবর্তন হয়েছে।
এরপরই পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৮০৯ জন মারা গেছে ফ্রান্সে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৯১ জন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৫৩ হাজার ৭৩৬ জন।
এছাড়াও জার্মানি ও রাশিয়ায় যথাক্রমে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭ জন্য এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৯ জন লোক আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুবরণ করেছে যথাক্রমে জার্মানিতে ৬ হাজার ৯৯৩ জন ও রাশিয়ায় ১ হাজার ৫৩৭ জন।
#আরআর/পাবলিক ভয়েস