
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটকালীন এই সময়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই জন্মগ্রহণ করবে ২৪ লাখ শিশু। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাপী শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে চলমান লকডাউন ও কারফিউয়ের মতো জরুরি অবস্থাতে করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে। সেখানে বিভিন্ন সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া ধাত্রীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের সেবাদানে নিয়োজিত। এমন অবস্থায় শিশুর জন্মের সময় দক্ষ লোকবলের ঘাটতি থাকবে।
আগামী নয় মাস প্রসূতি মা ও নবজাতকদের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে জানিয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, এই মুহূর্তে পুরো বিশ্বে লাখ লাখ মা মাতৃত্বের স্বাদ নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে তারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। লকডাউনের কারণে জরুরি সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক মাতৃমৃত্যু হার ও নবজাতকের মৃত্যু হারে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তবে করোনা সংকট শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ কমে গেছে। এই মুহূর্তে দেশের ৬৩টি জেলা হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৩৩টিতে সব ধরনের জরুরি গর্ভকালীন ও প্রসূতি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোযুমি বলেন, চলমান সংকটেও হাসপাতালগুলোতে অন্তঃসত্ত্বা মা ও নবজাতকের জীবনরক্ষাকারী রুটিন সেবাগুলো যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে অব্যাহত রাখা দরকার। সেই লক্ষ্যে এখন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ।
সংস্থাটি বলছে, চলমান এই মহামারির সময়ে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু জন্মগ্রহণ করবে ভারতে। সেখানে অন্তত দুই কোটি এক লাখ শিশুর জন্ম হবে। এ ছাড়া চীনে এক কোটি ৩৫ লাখ, নাইজেরিয়ায় ৬৪ লাখ, পাকিস্তানে ৫০ লাখ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৪০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করবে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে।
এমএম/পাবলিকভয়েস