আধ্যাত্মিকতা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। নিজেকে পরিশুদ্ধ রাখা এবং জাগতিক মোহ থেকে দুরে সরার জন্য এই আধ্যাত্মিকতার বিকল্প নেই। রাজনীতি হোক আর সমাজনীতি হোক আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ থাকলে তা অবশ্যই সৌন্দর্যমন্ডিত হয় এবং সফলকাম হয়।
কাজী সফি আবেদীন : সালতানাতে উসমানিয়া, যার পূর্বদিকে পারস্য উপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিমে ইউরোপের ভিয়েনা এবং উত্তরে ককেশাস পর্বতশ্রেণি থেকে পশ্চিমে মিসর পর্যন্ত (অটোমেন সাম্রাজ্য) সালতানাতে উসমানীয়ার সীমানা সম্প্রসারিত হয়েছিল।
এক সময় এ সাম্রাজ্যের আয়তন ২০ লাখ ৮৮ হাজার চার শত বর্গমাইলে পৌঁছেছিলো, তুর্কি সাম্রাজ্যের আওতায় ছিল দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ, মধ্য ইউরোপের অংশবিশেষ, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়ার ককেশাস অঞ্চল, উত্তর আফ্রিকা ও আফ্রিকার পর্বত শৃঙ্গ।
যেসব দেশ অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল সেগুলো হলো তুরস্ক, সাইপ্রাস, মাল্টা, মিসর, গ্রীস, বুলগেরিয়া, রুমানিয়া, মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া, আলবেনিয়া, মোলদাভিয়া, দক্ষিণ ইউক্রেন, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, হাঙ্গেরী, ইসরাইল, ফিলিস্তিন, জর্দান, লেবানন, সিরিয়া, সৌদি আরবের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল, ইরাক, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, পূর্ব ইয়েমেন, উত্তর লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও উত্তর আলজেরিয়া।
গত পর্বে উসমানী খিলাফত এর পতন পরবর্তী তুরস্কের সামাজিক রাজনৈতিক পট পরিবর্ত নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, ইউরোপিয়ান সভ্যতায় গড়ে ওঠা সেক্যুলারিজমের তুরস্কে ইসলামের বিন্দু পরিমান নাম নিশানাও বাঁকি ছিলো না৷
নানান সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে তুর্কি জাতী পুনরায় তাদের ঐতিহ্যে ফিরে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাদের প্রচেষ্টায় তুর্কীদের মধ্যে জাতীয় চেতনাবোধ ফিরে আসতেছে সেই মহান ব্যাক্তিগণের মধ্যহতে একজন হচ্ছেন আধ্যাত্মিকতার প্রাণপুরুষ শায়খ মাহমুদ আফেন্দী নকশেবন্দী আল-তুর্কি, যার বিষয়ে গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম।
পর্বটি পড়ুন : আধ্যাত্মিক পীর মাহমুদ আফেন্দী ও তুরস্কে ইসলামী সভ্যতার পুনর্জাগরণ
সেই পর্বের সাথে মিলিয়ে যেটুকু বলতে হয় তা হল- তিনি কলেজ ভার্সিটিতে সালতানাতে উসমানিয়ার ইতিহাসকে পাঠ্যসূচি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাতে করে ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে হারানো গৌরব ফিরে আসে। পাড়ায় মহল্লায় ছোট ছোট দ্বীনি এদারা খুলেছেন, যেখানে শিশুদেরকে কুরআনের তালিম দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন শহরে তাবলীগের মারকাজ চালু করেছেন, যাতে আওয়াম সঠিক ভাবে দ্বীনের সন্ধান পায়, জাগায় জাগায় খানকা চালু করেছেন, যাতে মানুষের মাঝে এসলাহী পরিবর্তন আসে৷
একটি কল্যাণকর রাস্ট্র বা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্ব প্রথম প্রয়োজন জাগতিক লোভ লালসা মুক্ত একদল মুসলেহ, মুখলেস কর্মী বাহিনী, যা ইসলামের অগ্রযাত্রা ও স্থায়ীত্বের জন্য অত্যন্ত জরুরী৷
ফিলিস্তিনের হামাস সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক আল্লাহর অলি "শায়খ ইয়াসির আরাফাত রহ." উনার জীবদ্দশায় সংগঠনটি ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছিল, কারণ শায়খ ইয়াসির আরাফাত রহ. ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক রাহবার ও নির্মোহ মানুষ।
আসলে আধ্যাত্মিকতা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। নিজেকে পরিশুদ্ধ রাখা এবং জাগতিক মোহ থেকে দুরে সরার জন্য এই আধ্যাত্মিকতার বিকল্প নেই। রাজনীতি হোক আর সমাজনীতি হোক আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ থাকলে তা অবশ্যই সৌন্দর্যমন্ডিত হয় এবং সফলতা আসে।
- মিশরে ইখওয়ানুল মুসলিমীন ইসলামিক চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, রাতারাতি ইসলামিক ব্যাবস্থা পদ্ধতি চালু করার ঘোষনা দিয়ে বিপাকে পড়ে যায়, তাদের অদূরদর্শী পরিণামের জন্য একটি বিপ্লবী চেতনার অপমৃত্যু ঘটে৷ মুলত তারা দ্বীনের বিজ্ঞ আলেম ওলামাগন থেকে দুরে সরে আধুনিক ইসলামের চেতনাকে ধারণ করার ফলে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে৷ (এটি মিশরের সাধারণ জনতার মুখে শুনে বলছি আমি)
- ভারতে পৌত্তলিক যুগে ইসলামের প্রথম যাত্রা, এরপর ইংরেজ শাসিত ভারতে দেওবন্দী চেতনা, এই উভয় যাত্রায় রাহবারগনের হাতে ছিল আধ্যাত্মিকতার মশাল, যার ফলে উনারা সফল ছিলেন, যখন'ই আমরা আধ্যাত্মিকতা ছেড়ে, তাদের সোহবত ও কর্মপদ্ধতির বিপরিতে গিয়ে জাগতিক লোভ লালসা, হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, মডারেট ও আধুনিকতার নামে পশ্চিমাদের পাতানো ফাঁদে পাঁ দিয়েছি, তখন থেকে'ই আমাদের পরাজয় শুরু হয়ে গেছে৷
সাধারণত আধ্যাত্মিকতা বা সুফীবাদ, জাগতিক লোভ লালসা থেকে দুরে থেকে রব্বে কারীমের হুকুমকে প্রধান্য দিতে প্রেরণা জোগায়। ভারতবর্ষ থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করার পেছনে মুখ্য ভুমিকা ছিল এই আধ্যাত্মিক মনিষীগনের, এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিমা শক্তি পৃথীবির বুক থেকে এই তরিকাকে মুছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গেছে৷
সাধারণ মুসলমানদের অন্তর থেকে প্রকৃত সূফীবাদের চেতনা বিনষ্ট করার জন্য তাদের কিছু তাবেদার গোলামদের মাধ্যমে নকল সূফীবাদ তথা মাজার পূজা, পীর পূজা সহ সমাজে নানান বিদআত ও কুসংস্কার চালু করে দিয়েছে, অপর দিকে কিছু মডারেট ইসলামিক লেকচারারদের মাধ্যমে প্রকৃত সূফীবাদ ও ভন্ড সুফিবাদকে একত্রিত করে লেজেগোবরে হালুয়া বানিয়ে মুল সূফীবাদ কে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফল স্বরুপ সাধারণ যুব সমাজ ও উঠতি ইসলামিক বিপ্লবীদের একটি অংশ বিভ্রান্তিতে পড়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে৷
এই বিভক্তির কারণে পশ্চিমারা কিছুটা সফল, কারণ তাদের কাছে এই শক্তি এ্যাটমিক শক্তির চাইতেও মারাত্মক এবং এরা বিশ্বাস করে, যতদিন এই সূফিবাদ দুনিয়ার বুকে থাকবে ততদিন পৃথীবির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে আসবে না৷
পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রের সফল প্রমাণ হচ্ছে আরব গাল্ফের দেশগুলি, বর্তমানে আরব জাতীর মধ্যে ইসলামিক চেতনা নেই বললেই চলে, আরব জাগ্রত হলে সমগ্র মুসলিম জাতী জেগে ওঠবে, যেটা ২য় বার সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবীর সময়ে জেগে ওঠেছিল এবং সমগ্র ক্রুসেড সম্রাজ্যকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল, বর্তমানে আরবের দেশগুলো সূফীবাদের শক্তি থেকে ছিঁটকে পড়ার কারণে তারা সিংহ থেকে পশ্চিমাদের হাতের বিড়ালে পরিণত হয়েছে৷
ইসলামের প্রচার প্রসার ও কল্যাণকর রাস্ট্র প্রতিষ্ঠায় আধ্যাত্মিক নেতাদের যেমন ভুমিকা ছিল, তদ্রুপ অমুসলিমদের রাজ্য বিস্তারে তাদের ধর্মীয় নেতাদের ভুমিকাও বর্তমানে কেমন প্রধান্য পায় তা বিবেচনা করলেই দেখা যায়- এতে তারা সফল৷
৩৩১ খৃস্টপূর্ব অব্দে মেসেডোনিয়ার (গ্রিক) সম্রাট আলেকজান্ডার যখন বিশ্বজয়ের যাত্রা নিয়ে তার ইউনানী সেনাদল নিয়ে বের হলেন এবং শক্তিশালী ফারস্য সম্রাজ্য জয় করে ভারত অভিমুখে যাত্রা করলেন, তখন ভারতের তিনটি শক্তিশালী রাজার শাসন ছিল, ১৷ দক্ষিনাত্য, বর্তমান আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ২৷ পৌরব রাস্ট্র, ৩৷ মগত, আলেকজান্ডার দক্ষিনাত্যে আক্রমণ করার পূর্বেই দক্ষিনাত্যের রাজা আলেজান্ডারের মিত্র হয়ে যায়, মগতও আলেক জান্ডারের সাথে মিত্রতা করে ত্রিমুখি শক্তি দিয়ে দক্ষিনাত্যের স্বাধীনচেতা রাজা পুরুষুত্তমের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে, ১৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরও পুরুষত্তমকে কাবু করতে পারেনি, এর পেছনে মুল ভুমিকা ছিল তৎকালীন হিন্দু পন্ডিত আচারী চানক্য, পরবর্তীতে এই আচারী সমগ্র ভারতকে এক রাজার অধিনে নিয়ে আসার জন্য প্রতিজ্ঞা করেন, তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌরিকে ভারতবর্ষের একচ্ছত্র রাজা বানানোর জন্য বিভিন্ন দিক্ষা প্রদান করেন, পরবর্তীতে তার এই প্রতিজ্ঞা সম্পন্ন হয় চন্দ্রগুপ্ত মৌরি এর নাতি সম্রাট অশোক চক্রবর্তীর মাধ্যমে, সম্রাট অশোক চক্রবর্তী সমগ্র ভারতকে এক ছাতার তলে নিয়ে আসেন৷ আর এই সফলতার পেছনে হিন্দু পন্ডিত আচারী চানক্যর পুরাপুরি ভুমিকা ছিল, তার এই নীতি পরবর্তী ভারতে চানক্য নীতি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে৷
খৃস্টবাদ তথা ক্রুসেডারদের সম্রাজ্য বিস্তারেও তাদের ধর্মীয় নেতাদের ভুমিকাই প্রধান্য থাকে, বর্তমানে ইসলামিক যাত্রাকে বন্ধ করার পেছনে যেই অদৃশ্য ষড়যন্ত্র চলছে তার পেছনেও মূখ্য ভুমিকায় খৃষ্টান পাদ্রী এবং ইয়াহুদী লাবিদরা (রাব্বি) যুক্ত রয়েছে৷ তেমনিভাবে যতদিন মুসলিম সম্রাজ্যে আলেম ওলামা ও আধ্যাত্মিক মনীষিগণের নেক দৃষ্টি ছিল, ততদিন ইসলামিক সম্রাজ্যের বিস্তৃতি ও শান্তি বজায় ছিল৷
বর্তমানের তুরস্ক, যা প্রায় শতাব্দি ধরে ইউরোপিয়ান কালচারের কালো ছায়ায় আবদ্ধ ছিল, তুরস্কের সূফিগণ তাদেরকে সেই অন্ধকার থেকে টেনে আলোর দিকে নিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেব এরদোগান এই সূফীবাদের একজন একনিষ্ঠ শীষ্য, তিনি শায়খ আফেন্দীর একজন অন্যতম ভক্ত ও অনুসারী, তুর্কীবাসীকে অন্ধকার থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাস্ট্রীয় ভাবে যা করা দরকার তা শায়খ আফেন্দীর পরামর্শে করে থাকেন, যার ফলে শায়েখ আফেন্দীর পুরা সমর্থন রয়েছে এরদোগানের প্রতি। কয়েক বছর আগে যখন সেক্যুলারপন্থী সেনারা এরদোগানকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন আফেন্দীর অনুসারীরা সর্বাগ্রে রাজপথে নেমে এসে তা প্রতিহত করেছিলো৷
এরদোগান বর্তমানে তুরস্ক ও তুর্কিজাতীকে অন্ধকার থেকে বের করার জন্য সরাসরি বিরোধিতা বা কঠোর পন্থার পরিবর্তে কৌশলি পথকে বেচে নিয়েছেন, তিনি কামাল আতাতুর্ক, ইউরোপিয়ান কালচার ও তাদের পন্যের বিরোধিতা বা সরাসরি বয়কট না করে, অধুনিক মনস্ক তুর্কিদের সামনে উসমানী খিলাফতের ইতিহাসের উপর নির্মিত একটি ধারাবাহিক ড্রামা সিরিয়াল প্রচার করেন, যার নাম "দিরিলিস ইরতুগ্লুল" যাতে এই আধুনিক যুব সমাজ তাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে অবগত হয়ে মূল চেতনায় ফিরে আসে৷
আলেম ওলামাদের দ্বারা শিক্ষা সেক্টরে আধুনিকতার পাশাপাশি ইসলামিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করতেছেন, যার প্রভাব খুব দ্রুততার সহিত সম্প্রসারিত হচ্ছে, পাকিস্তানের মুফতি তারেক মাসউদ তার এক বয়ানে তুর্কীদের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, যেই জনপদের বাসিন্দাদের জন্য এক সময় দাড়ি রাখা নামাজ পড়া হিজাব পড়া ছিল সবচেয়ে বড় অপরাধ, বর্তমানে সেই জনপদে দাড়ি টুপি ও হিজাবীদের পদচারণায় আমি মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না৷
ইউরোপিয়ান পন্য সরাসরি বয়কট না করে নিজেরা মানসম্মত পন্য উৎপাদন করছে তুরস্ক। ফলে বিদেশী পণ্যের প্রতি তুর্কীদের আগ্রহ অনেক কমে গেছে, পেপসি সেভেনআপ এর মত কোল্ড ড্রিংক জাতীয় পণ্যের বিপরিতে তারা নিজেরা নিজেদের জনপ্রিয় কোলড্রিংক বাজারজাত করেছে, যার ফলে এইসব ইউরোপিয়ান পণ্যের বাজারে ব্যাপক ধ্বস নেমে এসেছে তুরস্কে। এমনকি তুরস্কে চাকুরী ও ব্যাবসা এবং ব্যাংকিং খাতেও বিশাল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে যাতে অর্থনৈতিভাবেও তুরস্ক অনেক উন্নতি লাভ করছে এখন৷
২০২৩ সাল নাগাদ লুজান চুক্তি সমাপ্তের পর তুর্কি এক নতুন দিগন্তের দিকে অগ্রসর হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তারা বিশ্বের এক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মন্তব্য করতেছেন, সম্রাজ্য বিস্তারেও কোন বাঁধা থাকবে না, পুরাতন নথিপত্র অনুযায়ী তারা তাদের হারানো সম্রাজ্য চাইলে ছিনিয়ে নিয়ে আসতে পারে৷
তুরস্ক ও বাংলাদেশ তুলনা :
বাংলাদেশে বহুমুখী বিপ্লবীবের বসবাস, কেউ মডারেট ইসলাম কায়েম করতে চায় ইরান ও মিসরের ব্রাদারহুড সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে, কেউ হিকমতের নামে আতাতুর্কীয় দৃষ্টিভঙ্গির আদলে গড়া সেক্যুলার বাদী রাজনৈতিক শক্তির সাথে জোট বদ্ধ হয়ে বিপ্লব ঘটাতে চায়, কেউ সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন লালন করে আসতেছে৷ তুরস্ক বলতে গেলে নিজেদেরকে নতুন করে তিলে তিলে গড়ে নিচ্ছে, তাদের যাত্রা ও পরিকল্পনা দীর্ঘ হলেও সফলতা আসবে অত্যন্ত মজবুুুুতির সহিত৷
আমাদের দেশের বিপ্লবকামীগন যদি এমন কৌশল অবলম্বন করে অগ্রসর হয়, তাহলে ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি কল্যাণকর ইসলামিক রাস্ট্র কায়েম করতে রক্ত ঝড়াতে হবে না, ইনশাআল্লাহ৷
লেখক : কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
#এইচআরআর/সম্পাদনা/পাবলিক ভয়েস