করোনাভাইরাস মহামারি আকারে রুপ নেয়ার পর প্রায় দুই মাস বন্ধ ছিলো ইরানের মসজিদ। আগামীকাল সোমবার থেকে বেশ কিছু এলাকার মসজিদ খুলে দিচ্ছে দেশটি। এছাড়াও ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, লকডাউন আরও শিথিল করে দ্রুতসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা স্কুলগুলো খুলে দেয়া হবে।

রোববার করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ইরানের গঠিত টাস্কফোর্সের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

রুহানি জানান, ইরানে যেসব অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের কম ঝুঁকি এমন ১৩২টি কাউন্টিতে আগামীকাল থেকেই মসজিদ খুলে দেয়া হবে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জামায়াতে নামাজ আদায়ের চেয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই বেশি জরুরি বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট ।

ইরানি প্রেসিডেন্ট জানান, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কম হওয়ায় আগামী ১৬ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা স্কুলগুলো খুলে দেয়ার কথা ভাবছে টাস্কফোর্স। তবে একমাস ক্লাস চলার পর আবার গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হবে।

ইরানে গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। এরপর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ১৫০ জন এবং ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

হাসান রুহানি জানান, গত কয়েক সপ্তাহে ইরানে হাসপাতাল গুলোতে করোনা রোগী ভর্তির হার অনেকটা কমে আসছে। ১০ মার্চের পর থেকে দেশটিতে সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে শনিবার (২ মে)।

তবে পশ্চিমাদের দাবি, ইরান করোনায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে। সেখানে সরকারি হিসাবের চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে বিশ্বাস তাদের।

উল্লেখ্য, করোনা প্রতিরোধে গত মার্চে লকডাউন শুরু হয় ইরানে। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল. স্টেডিয়ামসহ অন্যান্য সমাবেশস্থল। তবে অর্থনৈতিক ক্ষতি কমাতে গত ১১ এপ্রিল থেকে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ফের খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। যদিও জিম, সেলুনের মতো অতি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধই রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, ‘আমরা ধীরেসুস্থে ধারাবাহিকভাবে সব কিছু আবার চালু করবো।’ তবে করোনার প্রকোপ গ্রীষ্মকালেও থাকতে পারে জানিয়ে এর জন্য সম্ভাব্য খারাপ দৃশ্যের জন্যে জনগণকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সূত্র: আরব নিউজ

#এনএইচ/পাবলিক ভয়েস