
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্মম, অমানবিক অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কক্সবাজারে পাহাড় কেটে শরণার্থী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সেখানে গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। এ জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে খুশীর সংবাদ যে এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ মহামারির এই ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়নি।
মঙ্গলবার কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা মোহাম্মদ রেজোয়ানুল হক ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন গত কয়েকদিনে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইইডিসিআরের ফিল্ড ল্যাবে ৩৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে তাদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
তিনি বলেন, এই ৩৩ জনের মধ্যে ৯ জন সম্প্রতি সাগর পথে মালয়েশিয়া রওনা দিয়ে পরে ফিরে আসেন। এ ছাড়া তাদের সঙ্গী আরো ৩৯৬ রোহিঙ্গার মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাই বাড়তি সতর্কতা হিসেবে প্রত্যেককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে করোনা মোকাবেলায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ ও ১০ শয্যার এইচডিইউ স্থাপন করছে। ইতোমধ্যে এই দুটি ইউনিট স্থাপনের আনুষঙ্গিক কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে তা চালু করা হবে।
এমএম/পাবলিকভয়েস