বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ না দেখা গেলেও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ ভোর রাতে সেহরী খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখা শুরু করেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ।
জানা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়াসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ আজ সেহেরী খেয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাখীল দরবার শরিফের পীরজাদা মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী আমরা সেহেরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করেছি।’
সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র রমজানের মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবং শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ায় আজ শুক্রবার থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত : বাংলাদেশে এখনো পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ নিয়ে আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আছে। সেই সভায় জানানো হবে, বাংলাদেশে কবে থেকে রোজা শুরু হবে। কারণ ইসলামী ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুসারে আজ বাংলাদেশে শা'বান মাসের ২৯ তারিখ হলেও সৌদি আরবে গতকাল ৩০ শাবান পূর্ণ করে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে।
আরআর/পাবলিক ভয়েস