করোনাভাইরাসের দুর্যোগের কারণে কিছু সতর্কতার সাথে সৌদি আরবের পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে তারাবী নামাজ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মত এ বছর এই দুই মসজিদে তারাবী ২০ রাকায়াত করে হবে না বরং ১০ রাকায়াত করে হবে। সাথে সাথে রমজানে মসজিদুল হারামে ইবাদাত ও নামাজের ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে কিছু জরুরী নির্দেশনা।
সৌদি আরবের মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের প্রধান ইমাম শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইস বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে তারাবীর নামাজ হবে। তবে অন্যান্য বছরের মতো ২০ রাকাত হবে না, বরং ১০ রাকাত পড়া হবে এবং তা হবে দুই মসজিদ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিয়ে। এ সিদ্ধান্ত শুধু মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর জন্য। গতকাল মঙ্গলবার শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইস এ কথা জানান।
শাইখ সুদাইস বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে মক্কা-মদিনাবিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রমজান-সংশ্লিষ্ট কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এগুলো হলো -
১. সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তারাবী ও শেষ ১০ দিন তাহাজ্জুদের (কিয়ামুল লাইল) জামাত চলবে। তবে তা হবে দুই মসজিদের কর্মীদের নিয়ে। বাকিদের বাড়িতেই নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে।
২. ইমাম-মুয়াজ্জিন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
৩. যাবতীয় ইফতার আয়োজন ও পরিবেশনা স্থগিত। তার পরিবর্তে মক্কা-মদিনাজুড়ে প্যাকেটজাত ইফতার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪. ইতিকাফের কোনো ব্যবস্থাপনা থাকছে না।
৫. ২০ রাকাতের স্থলে তারাবী হবে পাঁচ সালামে মোট ১০ রাকাত।
৬. প্রতিদিন দুজন ইমামের একজন তারাবীর প্রথম ছয় রাকাত এবং অপরজন বিতরসহ অবশিষ্ট চার রাকাত নামাজ পড়াবেন।
৭. প্রতি তারাবীতে কোরআনে কারীমের শুরু থেকে সুনির্দিষ্ট একটি অংশ তিলাওয়াত করা হবে।
৮. শেষ ১০ দিনের তাহাজ্জুদে তারাবীতে পঠিত তিলাওয়াতের ধারাবাহিকতা বহাল থাকবে এবং ২৯ রোজায় কোরআন খতম করা হবে।
৯. বিতরের নামাজে কুনুতের দোয়া সংক্ষেপ, তবে অর্থবহ করে উপস্থাপন করা হবে।
১০. ওমরাহর স্থগিতাদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রসঙ্গত : সৌদি আরবে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৪ জন। এতে মারা গেছেন ১০৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৪৯০ জন।