লকডাউনে বিরক্ত হয়ে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান প্রদেশের একদল মানুষ। করোনাভাইরাসে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে লকডাউন ভেঙ্গে এই বিক্ষোভ করেছে তারা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লকডাউন উপেক্ষা করে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের দুটি সংগঠন — মিশিগান কনজারভেটিভ কোয়ালিশন ও মিশিগান ফ্রিডম ফাণ্ড — ‘অপারেশন গ্রিডলক’ নামে এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
সংগঠন দুটির ডাকে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। বুধবার বিকেলের সেই বিক্ষোভে মিশিগানের রাজধানীতে ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে এতে যোগ দেয় গাড়ি চালকরাও।
প্রতিবাদকারীদের একজন টম হজহেই সিএনএনকে বলেন, ‘আমার একটি খুদ্র ব্যবসা আছে, কিন্তু রাজ্য গভর্নর আমাকে বন্দীদশায় ফেলে রেখেছে।’ প্রতিবাদকারীদের আরেকজন বলেন, আমি একটি মোটর কোম্পানিতে কাজ করি। সেটিও এখন বন্ধ আছে।’
তাদের দাবি, তাঁরা জরুরি জিনিসপত্র কিনতে বের হতে পারছেন না। এখন সময় হয়েছে এই কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করার।
রাজ্য গভর্নর গত সপ্তাহে ‘স্টে হোম স্টে সেফ’-এর মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। এর সঙ্গে আরো বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য গভর্নর, যেমন প্রতিবেশীদের বাড়িতে যাওয়া যাবে না ইত্যাদি।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে বিশ্বব্যাপী বহু দেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার প্রধানদের একটাই চাওয়া মানুষ বাড়িতে থাকুক। সেই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রদেশেও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে মিশিগান অঙ্গরাজ্য একটি। কিন্তু এই প্রদেশ লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে ঘরে বসে বসে বিরক্ত মিশিগানবাসী। আর তাই রাষ্ট্রের ঘোষণা করা ‘স্টে এট হোম’-এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৫৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, নতুন করে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ সীমা পার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সারা দেশে করোনার নতুন সংক্রমণের সবোর্চ্চ সীমা আমরা পার করে ফেলেছি।’