এম.কলিম উল্লাহ, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার জেলার মহেশখালী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের চরপাড়ায় স্ত্রীর পরকিয়ায় বাঁধা দেওয়ায় শাররিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রবাসী স্বামী আলতাজ মিয়া (৪০)।
আজ ১১ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের চেঁচামেচিতে প্রতিবেশী লোকজন জড়ো হলে দেখতে পায় বাসার একটি কক্ষে আলতাজের গলায় ফাঁস লাগানো রশিতে ঝুলছে।
স্থানিয় লোকজন দ্রুত বাড়ীর লোহার দরজা ভেঙ্গে ডুকে আলতাজের অবস্থা বেগতিক দেখে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আলতাজ মিয়া কুতুবজোম পূর্বপাড়া গ্রামের নুর হোসেন এর পুত্র। গোরকঘাটা এলাকার সেকান্দর মাঝির মেয়ে নয়ারা বেগম এর সাথে আলতাজ মিয়ার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২মেয়ে ১ছেলে রয়েছে। বিগত ৫ বছর পূর্বে অালতাজ মালেশিয়া যায়। উল্লেখ্য সে গত জানুয়ারিতে দেশে ফিরে আসেন।
আলতাজ মিয়া দেশে ফিরে গোরকঘাটার চরপাড়া আদর্শ গ্রামে একখন্ড জমি কিনে তৈরি করা নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছে। আলতাজ বিদেশে থাকার সুযোগে স্ত্রী নয়ারা বেগম স্থানীয় এক যুবকের এর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে যায়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে আলতাজ মিয়া স্ত্রীকে পরকিয়ায় বাধাঁ দেওয়ার কারনে শশুরবাড়ীর লোকজন অালতাজ মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে আলতাজের বায়োবৃদ্ধ বাবা নুর হোসেন নুরু কুতুবজোম থেকে গোরকঘাটায় দেখতে অাসলে তাকে ও মারধর করে। শাশুরালয়ের এই নির্যাতন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিলো বলে জানান তাঁর পরিবার। এবং এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন বলে ধারনা করেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে জানতে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কমিশনার ছালামত উল্লাহর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার পর থেকে স্ত্রী নয়ারা পলাতক রয়েছে নিহতের পিতা নুরু মিয়া দাবী করেন। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানায়,আত্মহত্যার বিষয়ে তদন্ত চলছে। লাশের সুরতহাল শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএম/পাবলিকভয়েস