ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের শুক্রবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ব্রাজিলে মারা যাওয়ার সংখ্যা ১ হাজার অতিক্রম করেছে। এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,৬৮৩ জনে দাড়িয়েছে।
কিন্তু ব্রাজিলে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর চেয়েও আলোচিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে দেশটির প্রসিডেন্টের আচরণ। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি 'জাইর বলসোনারো' দেশটির ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব এবং লকডাউন জাতীয় কোন আইন মানছেন না এবং তিনি নিজেই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বলসোনারো বৃহস্পতিবার ব্রাসিলিয়ার একটি বেকারি পরিদর্শন করেছিলেন, যেখানে তিনি নাস্তা কিনেছিলেন, ছবি তোলেন এবং কর্মচারীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথন করেছিলেন, যেমনটি তার ছেলে এডুয়ার্ডোর টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে। যা নিয়ে দেশটিতে এবং বিশ্ব গণমাধ্যমে তুমু্ল সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
https://twitter.com/BolsonaroSP/status/1248370095941775360
তবে ওই বেকারী থেকে বেরোনোর সময় কিছু লোক দুর থেকে প্রেসিডেন্টকে জোরে জোরে বলছিলো ‘বাড়ি যাও’।
রাষ্ট্রপতি বারবারই লকডাউনের বিরুদ্ধে তার বিরোধিতা প্রকাশ করেছেন, যার ফলে তিনি দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের গভর্নরের সাথে মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছেন এবং তার নিজের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ হেনরিক ম্যান্ডেটের সাথে বিরোধ তৈরি করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকল্পে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট তা মানেননি।
বোলসোনারো এবং তার সমর্থকরা দাবি করেছেন যে লকডাউন এবং মানুষকে আটকে রাখার মাধ্যমে দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে এবং তারা স্থানীয় সরকারকে আরোপিত বিধিমালা ভঙ্গ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, দেশটিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ১০৫৬ জন মৃত্যু এবং ১৯৬৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ব্রাজিলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামর্থ্যের অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ রয়েছে। কারন দেশটিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।
প্রসঙ্গত : গত ডিসেম্বরে চীনে উপস্থিত হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলিত পরিসংখ্যান অনুসারে ভাইরাসটি কমপক্ষে ১৮৫ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ১.৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে এবং ১ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং প্রায় ৩,৭৫,০০০ এর বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
সূত্র : আনাদুলু / অনুবাদ: এইচআরআর
এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস