বাংলাদেশে আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস শনাক্তের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক ও আইইডিসিআর পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা।
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার দেওয়া তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
সোমবার দুপুরে ২ টা ৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
অরদিকে এর আগে ১২ টা ৩০ মিনিটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভিন্ন তথ্য। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চারজন মারা গেছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস ভবনে সম্মেলন কক্ষে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি বৈঠক শেষে এ তথ্য দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অপরদিকে একইদিন দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা উপরোক্ত তথ্য দিয়েছেন।
তবে হিসেব যেটাই হোক বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়া পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ফলে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২-১৩ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২৩-১১৭ জনে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, করোনা মোকাবিলায় (প্রতিরক্ষায়) একটি জাতীয় কমিটির গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাকে জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কিন্তু কখন কারখানা খুলবে, মসজিদ খোলা থাকবে কি না- এসব বিষয়ে জাতীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয় না। স্বাস্থ্য বিষয় ছাড়া আমার সঙ্গে কোনো কিছু আলোচনা হয় না। আমি সাংবাদিকদের জবাব দিতে পারি না।
পোশাক কারখানা খোলা রাখা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ বিষয়গুলো দেখবে। আমরা যদি ইচ্ছে করে সংক্রমণ বাড়াই, সেটা তো বলতে হবে। আগামীতে যাতে এমনটা না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় একসঙ্গে ২৮ জন ওঠাবসা করেছিল। তাদের কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব জায়গায় এভাবে ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে জায়গা দিতে পারবো না। এটা তো রোগ সেটা বুঝতে হবে। রোগ কাউকে ছাড়বে না।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে স্পেনে; ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৬ জন। এছাড়া ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৮।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৬৯ হাজার ৪৪৪ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ইতালিতে; ১৫ হাজার ৮৮৭। এরপর ১২ হাজার ৬৪১ মৃত্যু নিয়ে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে আড়াই লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।