করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু সংখ্যা ৫০ জনে দাড়িয়েছে।
এনডিটিভির খবরে জানা গেছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯৬৫ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। এ ছাড়া ১৫১ জন রোগটি থেকে সেরে উঠেছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। এর আগে ভারতে বুধবার একদিনেই ৪৩৭ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন তামিলনাড়ুতে।
এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের সাথে পরিকল্পিতভাবে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাবলীগের দিল্লি মারকাজ মসজিদকে।
বলা হচ্ছে ধর্মীয় জমায়েতে থাকা অন্তত সাত হাজার ৬০০ ভারতীয় এবং এক হাজার ৩০০ বিদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাবলীগের গত মাসের ওই জমায়েত ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসের ছড়ানোর সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে।
অপরদিকে তাবলীগের মারকাজ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন অবস্থানকে অপপ্রচার এবং সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন ভারতের শীর্ষ আলেমগণ। এ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানী, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল’ বোর্ডের সহ-সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানী, আইএমআইএম এর প্রধান আসাদুদ্দীন ওয়াইসী, জামাআতে ইসলামী হিন্দ এর সর্বভারতীয় সভাপতি সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হোসাইনী প্রমুখ।
আলাদা আলাদা বক্তব্য বিবৃতিতে তারা ভারতীয় প্রশাসনের সমালোচনা সহ এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ তুলছেন।
আরও পড়ুন : নিযামুদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মামলাকে ষড়যন্ত্র বললেন ভারতের আলেমগণ
তাবলীগ জামাতের সমাবেশে যোগ দেয়া বড় একটা অংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে নিযামুদ্দিন মারকাজ থেকে দেশি-বিদেশি মুসুল্লিদের বের হয়ে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সরকারের অসহযোগীতারও অভিযোগ তুলেছেন তারা।
তবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তাবলীগ জামাতের আরও সদস্য শনাক্ত হলে সংখ্যাটি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলীগ জামাতের ওই মারকাজ বা কেন্দ্রকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এর পর থেকে ভারতের ২৩টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত এলাকা ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে সংগঠনটির এক হাজার ৩০৬ জন বিদেশি সদস্যকে শনাক্ত করে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ এপ্রিল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে, ওই বিদেশিদের মধ্যে এক হাজার ৫১ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন, ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে এবং দুজন মারা গেছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সব ধরনের সুযোগ ব্যবহার করে তাবলীগ জামাতের স্থানীয় সাত হাজার ৬৮৮ সদস্য ও তাদের সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ এদের সবাইকেই কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।
আরআর/পাবলিক ভয়েস