
করোনা সংক্রমন থেকে নিরাপদ থাকতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, যে কারো কাছ থেকে ৬ ফুট দূরে থাকলেই করোনা সংক্রমনের ভয় থাকবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) গাইডলাইনে বলা হয়েছে, দুজন মানুষের মধ্যে ৩ ফুট দূরত্ব থাকলেই নিরাপদ।
কিন্তু হু এবং সিডিসি’র এই গাইডলাইনকে ভুল বলে অভিহিত করে ভিন্ন কথা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সহযোগী অধ্যাপক লিডিয়া বুরিবা।
তিনি বলেছেন, এই গাইডলাইন একদম সেকেলে ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ১৯৩০ সালের গবেষণায় পাওয়া তথ্যের সঙ্গে বর্তমান বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
লিডিয়া অনেক বছর ধরে কাজ করছেন মানুষের কফ ও হাঁচির গতিপ্রকৃতি নিয়ে। গত সপ্তাহে আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, ১০০ বছর আগের সেই তথ্যউপাত্তের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে করোনা ঠেকানোর যে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে, তা পুরোপুরি ভুল। করোনাভাইরাসের মতো রোগ সৃষ্টিকারী জীবানু ২৩ থেকে ২৭ ফুট দূরত্ব অনায়াসেই অতিক্রম করতে পারে। নির্দিষ্ট কক্ষপথে বিচরণকারী ভাইরাসটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকতে সক্ষম। করোনাভাইরাস বেশিক্ষণ বাঁচে না, এই ধারণারও তীব্র বিরোধিতা করেছেন লিডিয়া।
চীনের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের উদহারণ টেনে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ রোগী হাসপাতালের যে রুমে থাকছেন, সেই রুমের বাতাস চলাচলের পথে জায়গা করে নেয় ভাইরাসটির ক্ষুদ্রাংশ। এই ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সিডিসিকে অবশ্যই তাদের গাইডলাইন সময়োপযোগী করতে হবে।
লিডিয়া বুরিবার দাবিকে উড়িয়ে দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এমআইটি গবেষকের দেয়া নতুন তথ্যের প্রেক্ষিতে সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হু অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কঠিন এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আরো তথ্য পাওয়া গেলে সংস্থাটি অবশ্যই করোনার ব্যাপারে পরামর্শ ও গাইডলাইন হালনাগাদ করবে।
এমএম/পাবলিকভয়েস