ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এই অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের কারণে এটি প্রথম মৃত্যুর রেকর্ড বলে জানিয়েছেন সেখানের এক কর্মকর্তা।

সরকারী মুখপাত্র রোহিত কানসাল টুইটারে বলেছেন, শ্রীনগরের হায়দারপোড়া এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষের করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবারে এই মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ভোরে এই অঞ্চলের প্রধান সিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তাঁর করোনা সাসপেক্ট হওয়ার ব্যাপারে পরীক্ষা হয়েছিল এবং করোনা ইফেক্টেড হওয়ার প্রমান পাওয়া গিয়েছিলো।

গত মঙ্গলবার সকালে এই ভাইরাসের জন্য এই ব্যক্তিটির পরীক্ষা করা হয়েছিল, এবং এই অঞ্চলে আরও ১১ জনকে এই ভাইরাস সংক্রামিত করেছিল।

বক্ষব্যাধি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আনাদোলু এজেন্সিটিকে নিশ্চিত করেছে যে রোগীর দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলত্বের মেডিক্যাল ইতিহাস থাকার কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে রোগী মারা গিয়েছিলেন।

এই অঞ্চলের প্রধান শহর শ্রীনগরের বাসিন্দা এক রোগী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে একটি ধর্মীয় সমাবেশে (তাবলিগি জামাত) অংশ নিয়ে সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ফিরে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক দায়িত্বশীল।

জানা যায়, কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত মোট আট জন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এবং তিনজন এই মাসের শুরুর দিকে জম্মু অঞ্চল থেকে এসেছেন যার মাধ্যমে এই সংখ্যা ১১-এ পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে এছাড়াও এই অঞ্চলে ৫০ হাজারেরও বেশি রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, এবং একজন ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

তাছাড়া এই অঞ্চলের সরকার ইতিমধ্যে জনগণের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে, সমস্ত সীমানা এবং বিমান চলাচল বন্ধ করেছে এবং লোকজনকে তাদের বাড়ির বাইরে না যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে সংক্রামিত হয়ে এখন কমপক্ষে ১৭৫টি দেশ ও অঞ্চলগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (ডাব্লউএইচও) এই মহামারীটিকে বিশ্ব-মহামারী হিসাবে ঘোষণা করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলিত তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী নিশ্চিত হওয়া মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, আর মৃত্যুর সংখ্যা ২১,৩০০ এরও বেশি এবং ১১৪,৮০০ এরও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সর্বমোট রোগীর সংখ্যা ৪৪ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ জন। এবং আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি। অনুবাদ : হাছিব আর রহমান।