ইবনে মুসা : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল, বিশেষজ্ঞ প্যানেল, সবার একই কথা মসজিদে যাতায়াত কমিয়ে ফেলা। প্রয়োজন ব্যতিত মসজিদে না যাওয়া। কেউ কেউ তো এক কদম সামনে বেড়ে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার দাবিও তুলেছে!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মসজিদ বন্ধ নয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্যে বিব্রত দেশের মানুষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণজমায়েত এড়িয়ে চলার সংবাদ সম্মেলনেও ত্রিশজনের বেশি নিয়ে হাজির এবং সবাই গাদাগাদি পজিশনেই ছিলেন সেই সংবাদ সম্মেলনে। ঢাকা উত্তরের মেয়রও ঘটিয়েছেন একই কান্ড।
করোনা সংক্রামণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সরকার যে চিন্তিত তা সহজেই অনুমান করা যায়। আক্রান্ত দেশগুলো মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ের স্থান বাইতুল্লাহ ও মসজিদে নববীতেও নামাযে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি সরকার। এমনকি জুমাও বন্ধ!
ঠিক সেই সুযোগে অনেকে মসজিদ বন্ধে যেন উঠেপড়ে লেগেছে। জোর দাবি উঠিয়েছে মসজিদ বন্ধের।
মুসুল্লীরা কী ভাবছেন? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মসজিদ বন্ধ নয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চীনে করোনা ভাইরাস আক্রমণের পর চীন সরকার মসজিদ বন্ধ করেননি, বরং মসজিদ খুলে দিয়েছেন। কিন্তু অন্যান্য রাষ্ট্র মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে গণজমায়েতের অযুহাতে!
বাংলাদেশের সুশীলরাও একই সূরে গাইছেন বেশ কদিন ধরে। তবে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জরিপ করে দেখা গেছে, আগের তুলনায় মসজিদে মুসুল্লীসংখ্যা কয়েকগুন।
মুসুল্লীদের মন্তব্য, করোনা ভাইরাস এমন এক রোগ যা আল্লাহর পক্ষ হতে সরাসরি গজব বা পরীক্ষা। আজ পর্যন্ত বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোও যার চিকিৎসা আবিষ্কার কনতে পারেনি। মুহূর্তে মুহূর্তে জীন পাল্টানো এই ভাইরাস সরাসরি আল্লাহ প্রদত্ত। অতএব, নিয়মনীতি যাই করুক না কেন, আল্লাহ হেফাজত না করলে কেউ কিছু করতে পারবে না।
বলতে হলে আল্লাহর কাছেই বলতে হবে। আল্লাহ এই মহামারি দিয়েছেন মসজিদমূখী করার জন্য, বিমুখ হওয়ার জন্য নয়। আমরা সতর্ক থেকেই মসজিদে যাতায়াত করতে চাই। সতর্কতা অবলম্বনে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হোক, কিন্তু সতর্কতার নামে যেন নাফারমানীর দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়।