
নতুন করে যেই দুজন বাংলাদেশির শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া গেছে তাদের একজন ইতালি এবং অন্যজন জার্মান থেকে দেশে ফিরেছেন।
শনিবার রাতের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় জানান, আগের তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী এখন ভালো হয়ে গেছে। দু’জনকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। একজনকে আজ ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ইতিমধ্যে আরো দু’জন রোগী আমরা পেয়েছি। এখন আমরা সেই দু’জনকে নিয়ে এসেছি; হাসপাতালে রেখেছি। যা যা চিকিৎসা দেওয়া দরকার সেটা আমরা শুরু করেছি।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশে যারা করোনা ভাইরাস নিয়ে এসেছেন, আগে দু’জন এবং পরে দু’জন বিদেশ থেকে এসেছেন। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা এক রোগীর সঙ্গে থাকার ফলে আরেকজনেরও এই রোগ হয়।
সংশ্লিষ্ট খবর: দেশে আরো দুই করোনা রোগী শনাক্ত
এছাড়া ইংল্যান্ড বাদে ইউরোপের সব দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনকারী সকল ফ্লাইট এবং সব দেশের জন্য অন-অ্যারাইভল ভিসা বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয়ভাবে মোট চারটি সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জরুরি সাক্ষাতের পর এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে মোট চারটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে প্রথম সিদ্ধান্ত-ইউরোপের দেশসহ যেসব দেশ করোনায় বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে সেসব দেশের সঙ্গে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।
দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত-যেসব দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেসব দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রেও এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। কারণ ভারতেও বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তৃতীয় সিদ্ধান্ত- আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা বন্ধ থাকবে।
চতুর্থ সিদ্ধান্ত-করোনা ভাইরাস উপদ্রুত দেশ থেকে যারাই দেশে আসবেন তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোরেনন্টাইনে থাকতে হবে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশের জনগণের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
/এসএস