
মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের কারণে মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে স্থায়ী (নিয়মিত) জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ (গতকাল ১২ মার্চ) বৃহ্স্পতিবার এক রায়ে খালেদা জিয়ার জামিন স্থায়ী করেন। আদালতে খালেদা জিয়ারপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
কিন্তু বিকেলে এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিন স্থগিত করে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ভ্যাকেশনের পর আগামী এপ্রিল মাসে এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি করা হবে বলে আইনজীবীদের জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, নড়াইলের মানহানি মামলায় সকালে হাইকোর্ট বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দেন। দুপুরের পর এ মামলার অপর আইনজীবী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুনকে আদালত ডেকে নেন। তাকে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের ভ্যাকেশনের পর এ মামলার শুনানি করতে চাচ্ছেন। ভ্যাকেশনের পর এপ্রিল মাসে এ মামলার শুনানি হবে।
এর আগে হাইকোর্ট এ মামলায় ২০১৮ সালের বছর ১৩ আগস্ট এক আদেশে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন ও কেন তাকে স্থায়ী (নিয়মিত) জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
সংশ্লিষ্ট খবর: মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা বিতর্ক মামলায় খালেদার স্থায়ী জামিন
এ জামিন স্থগিত করতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলেও আপিল বিভাগ তা বহাল রাখেন। পরবর্তীতে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাইকোর্ট গতবছর ৫ ফেব্রুয়ারি এবং গত ২৮ জানুয়ারি দুই মেয়াদে জামিনের মেয়াদ একবছর করে বাড়িয়ে দেন। এ অবস্থায় রুলের ওপর শুনানি শেষে স্থায়ী জামিন দিলেন হাইকোর্ট।
মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করেন নড়াইল আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত ওই বছরের ১৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন।
তবে এ মামলায় জামিন বহাল থাকলেও এখনই কারামুক্তি মিলবে না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৭ ও ১০ বছর করে সাজা থাকায় আপাতত তিনি কারাগারেই থাকছেন।
/এসএস