
গান্ধীবাদকে সন্ত্রাসবাদের আসল কারণ উল্লেখ্য করে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত অফিস থেকে মহাত্মা গান্ধীর সমস্ত ছবি ও ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছে সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভা।
দলীয় সভা এবং তৎপরবর্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি অশোক শর্মা ও মিরাট রাজ্যের অভিষেক আগরওয়াল এ দাবি তুলেছেন।
তারা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের আসল কারণ গান্ধীবাদ। দেশে বর্তমানে যে জাতীয়তাবিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে তাদের সাথে যুক্ত লোকেরা গান্ধীবাদী বলে দাবি করছে। এজন্য অবিলম্বে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি দফতর থেকে জাতিরজনক গান্ধীজির সমস্ত ছবি ও ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলতে হবে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) উত্তর প্রদেশের মীরাটে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি জানানো হয়। সন্ত্রাসবাদ না করে প্রয়োজনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রতিষ্ঠা করে ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার কথাও বলেন তারা।
হিন্দু মহাসভার ওই দুই নেতা বলেন, ‘দেশে জাতীয়তাবিরোধী কাজকর্ম যেমন, জনতার ভিড়ের সাথে মিলে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা, পুলিশসহ সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থার উপরে হামলা চালানো এবং ভারতকে টুকরো টুকরো করার কথা বলা- এ ধরণের সমস্ত জাতীয়তাবিরোধী কাজ করা লোকেরা কেবল করমচাঁদ গান্ধীকে তাদের আদর্শ হিসেবে মনে করে।’
তারা বলেন, ‘দিল্লির শাহীনবাগের মতো অগণতান্ত্রিক ধর্না-অবস্থানে শামিল লোকেরা গান্ধীকে আদর্শ বলে মনে করেন। এর প্রমাণ হল এরা সকলেই গান্ধীর পোস্টার লাগিয়ে আন্দোলন করছেন।’
হিন্দু মহাসভা নেতা অশোক শর্মা ও অভিষেক আগরওয়াল আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালে সালেও গান্ধীর জন্যই দেশভাগ হয়েছিল এবং বর্তমান সময়েও যারা দেশকে বিভক্ত করার স্বপ্ন দেখেছেন তাদের আদর্শ গান্ধী।’ এজন্য সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভা খোলা চিঠির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি করছে যে দেশের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অবিলম্বে গান্ধীর সমস্ত ছবি ও ভাস্কর্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হোক।
/এসএস