
ভয়াবহ দাঙ্গা আক্রান্ত দিল্লির এক নালা থেকে আরও চার মুসলিম'র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় নতুন করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতে। তবে দিল্লি পুলিশ এই ঘটনার পুরোটাই গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।
রোববার উত্তর-পূর্ব দিল্লির গোকুলপুরীর দু’টি নালা থেকে তিনটি মরদেহ এবং শিব বিহারের এক নালা থেকে আরও একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফলে দিল্লি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৬ জনে। তবে প্রশাসন বলছে, উদ্ধার হওয়া ওই চার মরদেহের সঙ্গে দিল্লি সহিংসতার কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে রোববার পশ্চিম দিল্লির তিলকনগর ও রাজৌরি গার্ডেনে ফের দাঙ্গার গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রথমে তিলকনগর মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পশ্চিম উত্তমনগর, তুঘলকাবাদ, বদরপুর, সুরজমল স্টেডিয়াম, নাঙ্গলোই মেট্রো স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর পথও বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত বন্ধ হতে থাকে শহরের দোকানপাট ও শপিংমলগুলো। তাড়াতাড়ি করে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন সাধারণ লোকজন।
ঘণ্টাখানেক পরে ফের মেট্রো স্টেশন খোলা হয়। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (পশ্চিম রেঞ্জ) শালিনী সিংহ রাস্তায় নেমে পড়েন। জনতাকে গুজবে কান না-দিতে অনুরোধ করে পুলিশ। বিভিন্ন সম্প্রদায় মিলে তৈরি ‘আমন কমিটি’-র নেতাদেরও সক্রিয় হতে বলা হয়। এছাড়া নতুন করে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার খবর উড়িয়ে দেন আপ নেতারাও। তবে এই গুজবের প্রিক্ষিতে রাতে দিল্লি বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেক স্থানে রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও পাহারায় নামতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত রোববার থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত স্থায়ী ওই সহিংসতায় ৪২ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছিল। দিল্লির এই সহিংসতাকে অনেকেই সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এমএম/পাবলিকভয়েস