মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডা. মাহাথির মোহাম্মদ দেশটির রাজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পাকাতান হারাপানের আনোয়ারের অনুগতরা আশা করছেন, আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। পাকাতান হারাপানের প্রধান শরীক পিকেআর প্রধান আনোয়ার ইব্রাহিম, ডিএপির গুয়াং এঙ, আমানাহ পার্টির মোহাম্মদ সাবু প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের সাথে তার বাসায় দেখা করার অল্প কিছু সময়ের মধ্যে এই নাটকীয় ঘটনা ঘটে। আজ আনোয়ার ইব্রাহিম এবং তার স্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা আজিজাহর রাজার সাথে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।

মাহাথিরের সাথে পাকাতান নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে আসার পর সাংবাদিকদের আনোয়ার বিস্তারিত কিছু না বলেই কেবল উল্লেখ করেন যে, তুনের সাথে খুবই ভালো বৈঠক হয়েছে। তিনি বিশৃঙ্খলাকারীদের কাছে মাথা নোয়াবেন না। এই বৈঠকের পর আনোয়ারের অনুসারীদের মধ্যে বেশ আস্থা চলে আসে বলে মনে হয়।

পাকাতানের একটি সূত্র বলেছে মাহাথির আনোয়ার ও অন্যান্য নেতৃকবৃন্দকে বলেছেন তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন এবং ক্ষমতা আনোয়ারের কাছে অর্পন করবেন।

এদিকে পিকেআরের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আজমিন আলী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জোরাইদা কামরুদ্দিনকে দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা অভিযোগে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজমিন পাকাতান হারাপান পরবর্তী সম্ভাব্য সরকারের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার হবার স্বপ্ন দেখছিলেন। পেটেলিন জায়ার হোটের শেরাটনে বিরোধি জোটের সমর্থনে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় তিনি মূল সংগঠকের ভূমিকা পালন করছিলেন।

এদিকে বিরোধি উমনুর মধ্যে নতুন এক মেরুকরণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক মাহাথিরের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের ব্যাপারে তার সমর্থন আছে বলে প্রকাশিত খবরকে অস্বীকার করেছেন। রাজ্জাক বলেছেন এই পত্রিকার সাথে তিনি কোন কথা বলেননি।

আজমিন আলি ও তার সহযোগিদের গতকাল রাতে রাজার সাথে দেখা করার পর থেকে কিছুটা হতাশ মনে হচ্ছিল। রাজা তাদের ব্যাকডোরের নতুন সরকার গঠনের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া না দিয়ে তার আরো সময়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি আজ দুপুরে আনোয়ার ও উপপ্রধানমন্ত্রী ওয়ান আজিজাহকে সাক্ষাতের সময় দেন।

আজ সোমবার মালয়েশিয়ায় অনেক ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য রাজার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। মাহাথিরের পদত্যাগপত্র রাজা গ্রহণ করলে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে ওয়ান আজিজাহ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন। অথবা সরাসরি আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। পরবর্তীতে অবশ্য নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে আস্থা ভোটে জয়লাভ করতে হবে।