
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা ও ক্ষতিকারক উপাদান প্রকাশ করা অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ফেসবুকে খারাপ ছবি, অডিও, ভিডিও, সংবাদ প্রকাশ করা এবং তাতে লাইক, কমেন্ট কিংবা শেয়ার দেওয়া অপরাধ। এই সব কাজ করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশে যে সমস্ত কনটেন্টকে (ছবি, মন্তব্য, অডিও, ভিডিও, সংবাদ) ক্ষতিকারক উপাদান বলি, সেগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। পর্নোগ্রাফি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে অসত্য খবর, গুজব, ঘৃণা ছড়ানো এবং জঙ্গি উপাদান। এই তিন ধরনের কনটেন্টে কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা বা এ সংক্রান্ত স্ট্যাটাস পোস্ট দেওয়া অপরাধ।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনের বেশিভাগ অপরাধই অজামিনযোগ্য। এসব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে মামলা নিয়ে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতারের সুযোগ আছে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ। শুধুমাত্র ভুয়া আইডি খোলার অপরাধে যে কাউকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব। যখন আমরা ফেক আইডি চিহ্নিত করতে পারি বা এখান থেকে ক্ষতিকর কোনো ধরনের জিনিস ছড়ানো হচ্ছে, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারের কাছে ক্ষতিকারক মনে হলেও (ফেসবুকের) কমিউনিটির স্ট্যান্ডার্ডের স্বার্থের কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাওয়া যায় না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি প্রমুখ।
আই.এ/