
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৪৩ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই দায়িত্ব পালনের সময় এই ৪৫ কর্মকর্তা অপ্যায়ন খরচ হিসেবে দেখিয়েছেন ২২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঢাকার এই দুই সিটিতে ভোট মোট খরচ হয়েছে প্রায় মোট ৪৩ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আর দুই সিটিতে মোট ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। এই হিসাবে ভোটার প্রতি খরচ ৭৯ টাকার বেশি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সূত্র আরও জানায়, ঢাকার দুই সিটিতে ৪৩ কোটির বেশি খরচ হলেও ২০১৫ সালের ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মোট খরচ ছিল প্রায় ২৭ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ১৮২ টাকা।
এবারের বাড়তি খরচ সম্পর্কে ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া, অন্যান্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, জনবল বৃদ্ধি, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে এবার ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের খরচ বেড়ে গেছে।
এবারের নির্বাচনে উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ভাতা ১১ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার, ম্যাজিস্ট্রেট ব্যয় দেড় কোটি, সার্বিক পরিবহন খরচ ১ কোটি ৬ লাখ ৬৪ হাজার, মনিহারি ব্যয় ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯০, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অপ্যায়ন ব্যয় ২২ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া বাকি টাকা পেট্রোল, তেল ও লুব্রিকান্ট, মজুরি, যানবাহন ভাড়া, মুদ্রণ ও অন্যান্য খাতে খরচ করা হয়েছে। এই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুলিশ (র্যাবসহ) ৮ কোটির বেশি, আনসার ৯ কোটির কোটির বেশি, বিজিবি ১ কোটির কোটি বেশি খরচ হয়েছে। এ ছাড়াও এ খাতে আরও কিছু খরচ রয়েছে।
ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস