পরকীয়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ভারতে। একটি জরিপ বলছে দেশটিতে প্রত্যেক ১০ জন নারীর সাতজনই পরকীয়ায় লিপ্ত। বিবাহবহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ গ্লিডেন এই জরিপ পরিচালনা করেছে। ভারতে অ্যাপটির ব্যবহারকারী প্রায় ৫ লাখ।
‘নারীরা কেন ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ছেন’ শিরোনামে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাই, কলকাতার মতো শহরের নারীরা সবচেয়ে বেশি পরকীয়ায় লিপ্ত বলে জরিপে উঠে এসেছে। নারীরা পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার পেছনে স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে অসুখী, অবজ্ঞা, গৃহস্থলীর কাজে স্বামীর সহযোগিতা না করাকেই যুক্তি হিসেবে দাড় করান।
সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এমন নারীদের টার্গেট করে ২০০৯ সালে গ্লিডেন অ্যাপের যাত্রা শুরু হয় ফ্রান্সে। ৮ বছর পর ২০১৭ সালে ভারতে এটির যাত্রা। এখন ফরাসি এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মোট ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশই ভারতীয় বিবাহিত নারী। যাদের বয়স ৩৪ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে।
ব্যবহারকারীর ২০ শতাংশ পুরুষ ও ১৩ শতাংশ নারী তাদের স্ত্রী এবং স্বামীকে ঠকিয়ে পরকীয়া করছেন বলে স্বীকার করেছেন। স্বামীকে ঠকিয়ে পরকীয়া করছে এমন ৭৭ শতাংশ ভারতীয় নারী বলেছেন, তাদের বিবাহিত জীবন একঘেয়ে হয়ে পড়েছে। তাই তারা বিয়ের বাইরে একজন সঙ্গীকে খুঁজে নিচ্ছেন। নিজের স্বামীর বাইরে একজন সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার মধ্যে তারা ভিন্ন ধরনের উত্তেজনা অনুভব করছেন। ভারতের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী মনে করে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকা উচিত; জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
অপর এক জরিপে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ভারতে পরকীয়ায় জড়িত অন্তত ৮ লাখ মানুষ। দেশটির বিবাহিত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সম্প্রতি একটি অনলাইন ডেটিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস অ্যাপ সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানেই এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতের ৮ লক্ষ মানুষ যে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত তাদের এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু, মুম্বাই এবং কলকাতা। পরকীয়া নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডেটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে পরকীয়ায় শীর্ষে আছেন বেঙ্গালুরুর পুরুষরা। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, পরকীয়ায় মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা বেশি।
ভারতে পরকীয়ায় জড়িত অন্তত ৮ লাখ মানুষ। দেশটির বিবাহিত পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সম্প্রতি একটি অনলাইন ডেটিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস অ্যাপ সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানেই এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতের ৮ লক্ষ মানুষ যে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত তাদের এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু, মুম্বাই এবং কলকাতা।
পরকীয়া নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডেটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে পরকীয়ায় শীর্ষে আছেন বেঙ্গালুরুর পুরুষরা। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, পরকীয়ায় মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা বেশি। বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই এবং কলকাতার পুরুষেরা, তারপরেই আছে দিল্লী, এরপর হায়দ্রাবাদ।
এছাড়া মেয়েদের দিক দিয়ে তালিকায় এগিয়ে আছে বেঙ্গালুরু, তারপর যথাক্রমে মুম্বাই এবং চেন্নাই। পাসাপাশি তালিকায় কলকাতা শহরও রয়েছে। পাশাপাশি যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই এবং কলকাতার পুরুষেরা, তারপরেই আছে দিল্লী, এরপর হায়দ্রাবাদ। এছাড়া মেয়েদের দিক দিয়ে তালিকায় এগিয়ে আছে বেঙ্গালুরু, তারপর যথাক্রমে মুম্বাই এবং চেন্নাই। পাসাপাশি তালিকায় কলকাতা শহরও রয়েছে।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে পরকীয়া আইনসিদ্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই যেন গ্রিন সিগনাল পেয়েছেন কিছু মানুষ। এরপরই মেতে উঠেছে পরকীয়ার সম্পর্কে। পরস্ত্রী কামনা করেও অপরাধবোধে ভোগার কোনো কারণ নেই পুরুষের। বরং এমন সম্পর্কের ক্ষেত্রে শাস্তি বিধান করাটাই অসাংবিধানিক। নারী-পুরুষের সমান অধিকারবিরোধী।
এদিকে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বরে ব্যভিচার কোনো ‘অপরাধ’ নয় জানিয়ে এ সংক্রান্ত প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো একটি আইন বাতিল করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে আইনটি বাতিলের রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চে আরও ছিলেন বিচারপতি এএম খানবিলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, আরএফ নারিমান ও ইন্দু মালহোত্রা।
সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা বলেছেন, ‘বিবাহিত নারী যদি পরপুরুষের অঙ্কশায়িনী হন তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়।’ এতদিন অবশ্য এটি অপরাধ ছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় সেই অপরাধের সাজা ৫ বছরের জেল বা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড।
সুপ্রিমকোর্ট সেই আইন খারিজ করে দিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা হল অ্যাডালট্রি ল বা পরকীয়া আইন। ১৮৬০ সালে তৈরি ওই আইনে বলা আছে, কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে যদি তার স্বামীর অমতে অন্য কেউ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়, আর সেই সম্পর্ক যদি ধর্ষণ না হয়ে থাকে, তবে তা ফৌজদারি অপরাধ।
পরকীয়া আইনে ওই বিবাহিত নারীকে পরিস্থিতির শিকার হিসেবে গণ্য করা হবে। দোষী হবেন সেই ব্যক্তি যিনি ওই নারীর স্বামীর অমতে তার সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেছেন। অভিযোগ দায়ের বা মামলা করার সুযোগও থাকবে ওই নারীর স্বামীর হাতে, তাকে এ ঘটনায় ‘প্রতারিত’ বলে গণ্য করা হবে।
১৫৮ বছরের পুরনো এ আইনে ছত্রে ছত্রে পুরুষতন্ত্রের ছোঁয়া। এ আইনে নারী কোনো ব্যক্তি নয়। তার কোনো নিজস্বতা নেই। নারী অধস্তন, স্বামী তার মালিক। বলা যেতে পারে, নারী স্রেফ তার বিবাহিত পুরুষটির মর্জিতে চলা সম্পত্তি। যা বেহাত হলে মালিক জবাব চাইবে যে নিয়েছে তার কাছে। আর স্বেচ্ছায় দিলে কোনো সমস্যা নেই। জোসেফ শিনে নামের এক ব্যক্তি এ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিলেন।