
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা তার পদত্যাগ প্রশ্নে সরাসরি ‘না’ বলেছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিইসির পদত্যাগ দাবি করে। এছাড়া আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির পক্ষ থেকেও নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করবেন কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসির দাবি, ‘নির্বাচন তো ভালো হয়েছে, সুষ্ঠু হয়েছে। যারা ভোট দিতে গিয়েছেন, তারা সবাই ভোট দিয়েছেন। কেউ বলেননি, ভোট দিতে গিয়েও পারেননি। এখানে তো পদত্যাগের কোনো প্রশ্ন আসে না।’
কত শতাংশ ভোট পড়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা তো বলা যাচ্ছে না। তবে ৩০ শতাংশের নিচে বলে মনে হয় না।’
শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধান নির্বাচন কমিশনরা নূরুল হুদা।
এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিইসির সঙ্গে দেখা করে তার পদত্যাগ দাবি করেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘বের করে দেয়ার ব্যাপারে কোনো এজেন্ট অভিযোগ করেননি।
আমি যেখানে ভোট দিতে গিয়েছি, সেখানে সব দলের এজেন্ট ছিলেন। আর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দায়িত্ব তাদের। ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হলে অভিযোগ করতে হবে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি, নির্বাচন কমিশনও পায়নি।’
ভোট দেয়ার সময় স্বয়ং সিইসিকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আঙুলের ছাপ না আসায় তার ভোট দিতে বিলম্বিত হয়। পরে বিকল্প ব্যবস্থায় ভোট দেন সিইসি। ইভিএমে এমন বিড়ম্বনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন নূরুল হুদাকে।
উত্তরে তিনি বলেন, যারা ইভিএমে ভোট দিয়েছেন, তারা কেউই বিরোধিতা করেননি। ইভিএম খারাপ সে কথাও কেউ বলেননি। ভোট দেয়া জটিল, কেউ কেউ বলেছেন। এ কারণে ভোট দিতে দেরি হয়েছে। অধিকাংশ ভোটার বলেছেন যে, ইভিএমে ভোট দিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন। ইভিএমে সহজে-সঠিকভাবে ভোট দেয়া সম্ভব হয়েছে।
ভোটারদের আঙুলের ছাপ রেখে বের করে দেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি।’
শনিবার বিকেলে অর্থাৎ ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ একযোগে শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। প্রাপ্ত ফলাফলে দুই সিটির আওয়ামী লীগের দুই মেয়রপ্রার্থী বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
/ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস