রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডস্থ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার এর দুই শিক্ষক মুফতী রিজওয়ানুল কবীর ও মুফতী শরিফ মালিক গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আজ তাদের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তারা র্যাব-১১ এর হেফাজতে আছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির অপর একজন শিক্ষক মাওলানা আতাউর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এদিকে মাদরাসার পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদও এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে জানিয়েছেন। তবে ঠিক কী কারণে তাদের র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যে র্যাব ১১-এর কাছে শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে জানা যায় গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে দুজন মাদরাসা থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। এদিন আসরের নামাজের পর দুই শিক্ষক রিকশায় করে যমুনা ফিউচার পার্কে যান। এরপর সন্ধা গড়িয়ে রাত ১০টা বেজে গেলেও তারা ফিরে না আসায় শঙ্কা তৈরি হয়। প্রথমে মুফতী রিজওয়ানুল কবীর এর বাসা থেকে স্বজনরা মাদরাসায় খোঁজ নিয়ে তার সন্ধান না পেলে দুই শিক্ষকের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্ক তৈরি হয়। এরপর থেকে তারা দুজনেই নিখোঁজ ছিলেন।
শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লাম মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ এর জামাতা মুফতী আমীর হামজা জানান, ‘মুফতী রিজওয়ানুল কবীর মাদরাসার সিনিয়র মুফতি ছিলেন, আর মুফতী শরিফ মালিক মাদরাসার মুহাদ্দিস ছিলেন। তারা দুজনেই প্রায়ই একসাথে যমুনা ফিউচার পার্কে যান। সেখানে নাস্তা করেন, গল্প করেন। আবার সময় মতো চলে আসেন।
তবে আজকে তাদের খোঁজ পাওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অনেকেই। কারণ এর আগেও অনেক তরুণ আলেমদের এভাবে নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত : মুফতী রিজওয়ানুল কারীম মাদরাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত আছেন। নিজ উদ্যোগে অভাবী ও অসহায় মানুষের সেবা প্রদানের কাজে “হাসানাহ” নামক একটি সেবা সংস্থা পরিচালনা করেন তিনি। মুফতী শরীফ মালিক তাঁর সহযোগী।