
রাস্তার পাশ ধরে পায়ে হেঁটে কোচিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো স্কুল ছাত্রী তিথি পাল ও তার বান্ধবী রুপা চক্রাবর্তী। সামনের দিক থেকে আসছিলো বালুবোঝাই ট্রাক। চলতি পথে চলন্ত গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েন ট্রাক চালক হুমায়ুন মিয়া (৩০)। গৌরীপুর শহরের হারুন পার্ক এলাকার রাস্তার ওপর এদিক-ওদিক করছিলো ট্রাকটি। বালুবোঝাই ট্রাকটি ঘুমন্ত ড্রাইভিংয়ে চাপা দেয় স্কুল ছাত্রী তিথিকে। তাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় স্কুল ছাত্রী তিথি পাল (১৩)।
আজ সোমবার সকালে (১৩ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিথি পালের বান্ধবী রুপা চক্রাবর্তী। গুরুতর আহত রুপাকে গৌরীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে কিশোরগঞ্জগামী বালুবোঝাই ট্রাকের চালক হুমায়ুন মিয়া (৩০) গৌরীপুর শহরের হারুন পার্ক এলাকায় এসে চলন্ত গাড়িতে ঘুমিয়ে যায়। এ সময় ট্রাকটি রাস্তার এপার-ওপারে দিক-বেদিক ছুটছিল। একপর্যায়ে রাস্তার পাশে নেমে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকালে উপজেলার মধ্যবাজার পুরনো সোনালী ব্যাংক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিথি পাল উপজেলার মধ্যবাজার চাল মহালের রঞ্জন পাল মনার মেয়ে। সে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
আহত রূপা কালিখলা শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরের কর্তা উত্তম চক্রবর্তীর মেয়ে। তার বাড়ি নেত্রকোনার সুসংদুর্গাপুরে।
জানা যায়, দুই বান্ধবী গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়। তিথি পাল উপজেলায় মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অর্জন করে। দুই বান্ধবী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে দুই বান্ধবী রাস্তার পাশ দিয়ে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে মধ্যবাজার পুরনো সোনালী ব্যাংক এলাকায় পেছন দিকে থেকে বালুবোঝাই দ্রুতগামী একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তিথি পাল।
গুরুতর আহত রূপা চক্রবর্তীকে গৌরীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী এ সময় ট্রাকচালক হুমায়ুন মিয়া ও ট্রাকের হেলপার মো. রবিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গৌরীপুর থানার এসআই মো. বাহারুল ইসলাম জানান, ট্রাকচালক-হেলপারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।
/এসএস