
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় ধর্ষণের মত অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। রাঘব বোয়ালরা ধর্ষণ করে যখন আইনে ছাড় পেয়ে যায়, তখন চুনোপুটিরাও ধর্ষণে মেতে ওঠে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৭৩২জন। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো ধর্ষকের বিচার না হওয়া। ধর্ষণের মত ঘৃণ্য অপরাধ দমনে সংসদে কার্যকর আইন পাশ করতে হবে। আজ ১০ জানুয়ারী’১৯ইং শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ আত-তরিক অডিটোরিয়ামে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত জেলা প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা তিনি।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সরকার দলীয় হস্তক্ষেপে মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে নতুন কোন পরিস্থিতি তৈরির জন্য সরকার-ই-দায়ী থাকবে।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরামের সঞ্চালনায় আয়োজিত জেলা প্রতিনিধি সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলাও পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখতে ও স্বচ্ছ জাতীয় নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশব্যাপী ক্যাম্পাসসমূহে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীর ব্যস্ততম কুর্মিটোলা সড়কের পাশের ফুটপাত ধরে অনেকটা জায়গা নির্জন। ঝোপঝাড় আর গাছের আড়ালে অজানা বিপদের শঙ্কা লেগেই থাকে, ব্যাপারটা কারো অজানা নেই। এ সড়কে সতর্কতার সাইনবোর্ড দিয়েই পুলিশ ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণই এ এলাকার প্রথম দুর্ঘটনা নয়, নির্জন এ ফুটপাতে প্রায়ই ঘটে নানা অপরাধ। সুতরাং, কুর্মিটোলার এ সড়কে অপরাধ দমনে পর্যাপ্ত রোড লাইট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত জেলা প্রতিনিধি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম.এম. শোয়াইব, অফিস ও যোগাযোগ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, প্রকাশনা সম্পাদক এইচ এম সাখাওয়াত উল্লাহ, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, কলেজ সম্পাদ এম.এ হাসিব গোলদার, কওমি মাদরাসা সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, স্কুল সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মশিউর রহমান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সুলাইমান দেওয়ান সাকিব, জামালুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ, মুনতাসির আহমাদ এবং মালয়েশিয়ার মাশা ইউনিভার্সিটির ভিপি বশির ইবনে জাফর সহ কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক জেলা নেতৃবৃন্দ।
এমএম/