ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ঢাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন না মানার কারণে ভাড়াটিয়াদের মাসিক আয়ের একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে আবাসন খরচে। তবে বাড়ির মালিকগণ অতিরিক্ত হারে ট্যাক্স আরোপ করাকেই এর কারণ হিসেবে সনাক্ত করছেন। বাস্তবতা কিছুটাও তেমনই। এজন্য আমরা বিজয়ী হলে উভয়পক্ষের ওপর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।
বিভিন্ন কারণে ঢাকা সিটিতে গত বছরের তুলনায় এবছর জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ। তবে এ হারে মানুষের বেতন ও অন্যান্য আয় বাড়েনি। এজন্য আমরা চেষ্টা করবো বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে আনতে।
আজ ০৯ জানুয়ারী’২০ইং বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথা বলেন মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটে পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনে যে পরিমাণ লোকবল নিয়োগ দেখানো হয়েছে তার কতভাগ প্রকৃতপক্ষে কাজ করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
মাওলানা মাসউদ বলেন, আমি বিগত একমাসে ঢাকা উত্তরে অনেকগুলো পাবলিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। সেখানে জনতাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেছি, আপনারা কেউ দেখেছেন আপনাদের ওয়ার্ডে প্রতিদিন মশক নিধনে নির্দিষ্ট কর্মীদের কাজ করতে? উত্তরে তাঁরা সবাই না শব্দ উচ্চারণ করেছে। সুতরাং বুঝা গেল এ খাতে বাজেটও হয় খরচও হয়, কিন্তু কাজ হয়না। আমরা বিজয়ী হলে বাজেটের শতভাগ জনগণের জন্যই খরচ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াও আজ সকাল ১০টায় তিনি দৈনিক যুগান্তর আয়োজিত “কেমন সিটি চাই” শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিয়ে তাঁর গবেষণালব্ধ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।