
রাজধানীর রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা মাদকের আখড়া উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় রেললাইন ঘেঁষে থাকা ভাসমান মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের আখড়া চিহ্নিত করে মোট ৭৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল থেকে শেওড়া-খিলক্ষেত এলাকায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, পথচারীদের চলাচল নিরাপদ করতে অভিযান চালিয়ে ৭৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব জায়গায় নিয়মিত মাদকসেবন হতো, এমন আলামত পাওয়া গেছে।
এর আগে, একই দিন বিকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা ভাসমান মাদক ও ছিনতাইকারীদের আখড়া উচ্ছেদে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এ দিকে, বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার মজনুর (৩০) বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, রেলস্টেশনগুলো বিভিন্ন অপরাধের আখড়া।
আজকে থেকেই ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে রেলস্টেশনের আশপাশের এলাকাগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে র্যাব। এই অভিযানে রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা ভাসমান এসব অপরাধের আখড়াগুলো উচ্ছেদ করা হবে। একই সঙ্গে বনানী এলাকা থেকে অভিযান শুরু করার কথা জানান তিনি।
এ সময় ধর্ষক মজনুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, কুর্মিটোলা এলাকাধীন রেললাইন ঘিরে এর আগেও নানা অপকর্মে জড়িত ছিল মজনু। ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থলসহ আশপাশে সে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করত। এছাড়া গ্রেফতার মজনু মাদকসেবী ও নিয়মিত ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত।
আই.এ/