বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে দিন কাটে মো. বিশাল মিয়ার, আর রাত হলে অবকাশ মিলে কিছুটা পড়ার। কিন্তু এমন জায়গায় থেকেও যে নিজেকে ফুটিয়ে তোলাযায় তার প্রমান দিলেন এই বিশাল, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ।
রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তার পরিচিত নাম বিশাল। অনেকেই তার এ সাফল্যে অবাক হয়েছে। আগে থেকে জানা থাকা কেউ আবার তাকে পুরস্কার দেবেও বলেছেন। বিশালের ফলাফল জেনে অনেকেই দোয়া করেন।
বিশালের বাবা মো. লিয়াকত মিয়া জানালেন, গ্রামের বাড়ির জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। থাকেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মৌড়াইলে। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার। বাড়ি ভাড়া, তিন সন্তানের পড়াশুনার খরচসহ অন্যান্য সাংসারিক ব্যয় মেটানো হয় চা বিক্রির আয় থেকেই।
আগে বড় ছেলে ইভান দোকানে থাকতেন। কয়েক বছর ধরেই সঙ্গে থাকে বিশাল। বিকেল পাঁচটার পর এসে বাড়ি ফিরে রাত একটার দিকে। এরপর পড়তে বসে। ডিপ্লোমায় পড়াশুনা করা ছেলে ইভানও আগে এভাবে দোকানে বসতো।
বিশালের জানায়, স্কুলের পাশাপাশি প্রাইভেট শিক্ষক আমেনা আক্তার তানজিনার কাছে পড়তো। এ ছাড়া দোকান থেকে বাড়ি ফিরেও পড়াশুনা করতো। মা কুলসুম বেগম তাকে স্কুল পাঠানো, পড়াশুনা নিয়মিত করার বিষয়ে উৎসাহ দেয়। বড় ভাই, বোনদের কাছ থেকেও উৎসাহ পায়।
বিশালের পিইসির ফলাফল বিবরণী থেকে দেখা যায়, সে ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতেই এ প্লাস পেয়েছে। বাংলায় ৮৫, ইংরেজিতে ৮৭, গণিতে ৮০, সমাজ বিজ্ঞানে ৯০, সাধারন বিজ্ঞানে ৯১ ও ধর্মে ৯৬ নম্বর।
এমএম/পাবলিকভয়েস