
আল্লামা আশরাফ আলী রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় অবস্থিত আসগর আলী হাসপাতালে (৩১ ডিসেম্বর) ইন্তেকাল করেছেন। দেশের শীর্ষ এ মুরুব্বি আলেমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনরা। অন্তিম দিনগুলোতেও তিনি ভেবেছেন দেশের কথা, আলেমদের কথা, মানুষ যেন কাদিয়ানীদের ফেৎনা থেকে বাঁচতে পারে, রক্ষা করতে পারে তাদের ঈমান আমল। শেষ দিনগুলোতেও তিনি ভেবেছেন কওমি মাদরাসা ও মাদরাসায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় অবস্থিত আসগর আলী হাসপাতালের বেডেই দিন পার করছিলেন তিনি। কিছু দিন পূর্বে হাসপাতালে তাকে দেখতে এসেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় শ্রদ্ধাভাজন এ আলেম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমত কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি প্রদান ও তাবলিগ জামাতের দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষভাবে শুকরিয়া জানিয়েছেন আল্লামা আশরাফ আলী। দ্বিতীয়ত, কাদিয়ানী ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৫৭টি দেশে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। আপনার ও সরকারের কাছে দেশের ওলামায়ে কেরামের আবেদন এ দেশেও যেন তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা হয়।’
এছড়াও আল্লামা আশরাফ আলীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে গত ১০ ডিসেম্বর হাসপাতালে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মুহা. আব্দুল্লাহ। এ সময় শ্রদ্ধাভাজন এ আলেম ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা যায়।
প্রথমত কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি প্রদানে অসমান্য অবদান রাখার জন্য আল্লামা আশরাফ আলী ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। দ্বিতীয়ত, হজের সফরে নিরলস পরিশ্রম করে সুষ্ঠু-সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়া এবং দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সকল আলেমদের সরকারিভাবে হজ করিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।
তৃতীয়ত, কাদিয়ানী ইস্যুতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, ‘আপনার ও সরকারের কাছে দেশের ওলামায়ে কেরামের আবেদন এ দেশে যেন কদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা হয়। এ উদ্যোগে আপনি সর্বদা আলেমদের পাশে থাকবনে বলে আমরা আশা করছি’।
আই.এ/