ইরাকের জনপ্রিয় আধাসামরিক বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র অন্তত পাঁচটি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনারা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ বেলায় এ বাহিনীর ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ব্রিগেডের ওপর ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এসব হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত ও অপর ৫১ জন আহত হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন এক বিবৃতিতে এ হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে এ হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলা হয়, তারা হাশদ আশ-শাবির সঙ্গে সংশ্লিস্ট 'কাতায়েব হিজবুল্লাহ’র কয়েকটি অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।এ হামলার জের ধরে ইরাকের সবগুলো মার্কিন ঘাঁটিকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে।

হাশদ আশ-শাবির শীর্ষস্থানীয় নেতা জাওয়াদ কাজেম রাবিয়াভি গতরাতে মার্কিন হামলা সম্পর্কে জানিয়েছেন, পশ্চিম ইরাকের আল-আনবার প্রদেশের আল-কায়েম শহরে কাতায়েব হিজবুল্লাহর কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। এসব হামলায় হাশদ আশ-শাবির ২৫ সদস্য শহীদ এবং অপর ৫১ জন আহত হয়েছেন।

ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ ও প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল-মাহদি সেদেশের আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ হামলার মাধ্যমে ইরাকের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হেনেছে আমেরিকা।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাত্‌য ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলাকে স্বাগত জানিয়ে একে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ বলে বর্ণনা করেছেন।

আমেরিকা, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের প্ররোচনায় গঠিত উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল হাশদ আশ-শাবি। ২০১৪ সালে দায়েশ ইরাকের বিস্তীর্ন এলাকা দখল করে নেয়ার পর প্রখ্যাত শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ আলী সিস্তানির এক ফতোয়া অনুযায়ী দায়েশ দমনের লক্ষ্যে হাশদ আশ-শাবি গঠিত হয়। ২০১৬ সালে ইরাকের পার্লামেন্টে আইন পাস করে এই বাহিনীকে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আই.এ/