ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খুবই দুর্ভাগ্য যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটে। আমি খুবই দুঃখিত, বিব্রত ও লজ্জিত। এ সম্বন্ধে বলার আমার আর কিছু নেই। কিন্তু আমি আমার অতীতের স্মৃতির পাতায় প্রবেশ করে সেই দিনগুলোর কথা যখন আমি মনে করি, জীবনের সেই সোনালী দিন; আমি ব্যথিত-লজ্জিত, এর বেশি আমার কিছু বলার নেই।

সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে গেলে আমি বিব্রত বোধ করি। আমাদের দিনে মতের ভিন্নতা ছিল, যেমন ১৯৬৯ সালে আমরা সর্বদলীয় ছাত্রসমাজ গঠন করেছিলাম। আমাকে ডাকসুর ভিপি হিসেবে আহ্বায়ক করা হয়েছিল। ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া), ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন), জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের একটা অংশ- আমাদের তো আদর্শের ভিন্নতা ছিল। এক আদর্শ ছিল না, কিন্তু আমরা ১১ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে এনেছিলাম।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এ সদস্য আরও বলেন, যারা ডাকসুর ভিপি হয় তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে চলা উচিত, কথা বলা উচিত। এমন কিছু করা উচিত নয়, যেটাতে প্রতিপক্ষের মনে আঘাত লাগতে পারে৷ ডাকসুর মানে সকলের। আমাকে কেন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়েছিল? কারণ ডাকসু মানে সকলের।

প্রসঙ্গত : গতকাল রোববার দুপুরে ভিপি নুরুল হককে তাঁর কক্ষে ঢুকে আলো নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এই মঞ্চের অনেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের মধ্যে গতকাল রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।