
মায়ের বুকের দুধ সংরক্ষণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করেছে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’। ব্যাংকটি ১ ডিসেম্বর চালু হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের উদ্যোগটি ঢাকা জেলার মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (আইসিএমএইচ) নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র (স্ক্যানো) এবং নবজাতক আইসিইউ (এনআইসিইউ)-এর নিজস্ব উদ্যোগ। বেসরকারি আর্থিক সহায়তায় ব্যাংকটি স্থাপন করা হয়েছে।
মুসলিম বিশ্বের কোনো দেশে কোথাও এ ধরনের মিল্কব্যাংক নেই। ওআইসি এর ইসলামি ধর্মীয় বিধান বিষয়ক বোর্ড ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী’ (International Islamic jurist of OIC) মিল্কব্যাংককে হারাম ঘোষণা করেছে। এটি যদি বাংলাদেশে অনুমোদনসহ উদ্বোধন করা হলে অবৈধ সন্তান এখন আমরা কী পরিমাণ দেখছি, সামনে বহুগুণ বেশি দেখতে পাবো! ২০০৬- এ আমি নিজে এমন জারজ শিশু দেখেছি। অবাক করেছি। এ কেমন অবিচার এই নবজাতকের উপর!
আর এসব জারজ সন্তানরাই আলিম উলামা আর ধর্মীয় লোকদের গায়ে হাত তুলতে পারে। একদা ইমাম আজম র.সহ কিছু আলিম কোথাও যাচ্ছিলেন এমতাবস্থায় বাচ্চাদের খেলার বলটা তাদের দিকে ছুটে আসলে বাচ্চারা ভয় পেয়ে বল নিতে আর আসছে না। কিন্তু লজ্জাকে লাত্থি মেরে এক বালক কাপড় ইত্যাদি বেমানান করে তাঁদের দিকে ছুটে যায় আর বল নিয়ে আসে।
তখন ইমাম আজম র. বলেছিলেন, এ হল জারজ সন্তান। খুঁজ নেয়া হলে দেখা যায় সত্যিই সেই জারজ সন্তান। ঈমানদারদের বেইজ্জতি করতে এমন সন্তানদের খুব প্রয়োজনবোধ করছে বলেই আজ অমুসলিম সম্প্রদায় প্রায় দেশে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ চালু করে অবৈধ সন্তান বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন কেন আমি জারজ সন্তানের কথা বলছি। যখন কোনো শিশুকে সেখান থেকে দুধ পান করানো হবে তখন সে মেয়ে অথবা ছেলে যেই হোক, একদিন অবশ্য বিয়ে করবে। তখন সে জানবে যে, শৈশবকালে সে কার দুধ পান করেছিলো। সেকি মুসলাম মহিলার দুধ পান করেছে, নাকি অমুসলিম নারীর?
যখন সে বিয়ে করবে তখন সে এটিও জানবে না যে, কার সাথে সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে? যদি তারা দুধ বোনভাই হয় সেক্ষেত্রে তাদের আজীবনের সংসার হবে অবৈধ সংসার আর যারাই জন্ম নিবে সকলে হবে জারজ বা অবৈধ সন্তান! আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ (বিয়ের জন্য)… তোমাদের দুধ মাতা, দুধ বোন।- সূরা নিসা ২৩
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে যেসব স্বজনেরা (বিয়ের জন্য) হারাম তদ্রূপ দুধপানের সম্পর্কের ভিত্তিতেও তারা হারাম।’ (বুখারী, মুসলিম) আমি এখানেই মূলত জারজের কথা বেশিই বলছি।
তাদের উদ্দেশ্য যতই মানবসেবা আর শিশুসেবা হোক না কেনো, কিন্তু সুযোগসন্ধানী যুবক যুবতী অনায়াসে রাজশাহীতে অজ্ঞাত ২২ নবজাতকের অবৈধ মাবাবার মতই ব্যভিচারে লিপ্ত হবে আর দেশকে জারজে ভর্তি করবে!!
আবার ক্যারিয়ার গঠনের নামে বয়স ভারি করবে আর নিয়মিত জেনাব্যভিচারে সেঞ্চুরি করবে। কারণ তাদের একটা ভরসা আছে যে, তাদের জারজ সন্তানটা অন্তত প্রাণে বাঁচবে।
যদি এমনই হয় তাহলে আর বেশিদিন লাগবে না বাংলাদেশে ‘জারজশ্রম’ চালু করতে। এখন আমরা দেখছি বৃদ্ধাশ্রম দেখছি তখন আমরাই দেখবো শিশুশ্রম বনাম জারজশ্রম! যা এখন নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র (স্ক্যানো) নামে করা হচ্ছে। তাই আসুন! আমরা ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’-কে না বলুন।
আই.এ/