ভোলা জেলা একটি জিম্মিদশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। জেলার বাস মালিক সমিতি থেকে নিয়ে লঞ্চ সার্ভিসসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিন্ডিকেট এবং স্বার্থবাজদের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে এই জেলার লাখো মানুষ। একটি আধুনিক এবং উন্নত অঞ্চল হিসেবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় বাধা এই জেলাকে জিম্মি করে রাখা কিছু প্রভাবশালীরা। জনগণকে জিম্মি করে তারা এক প্রকার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে দেদারসে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রতিটি সেক্টরে তারা অঘোষিত স্বৈরতন্ত্র চালু করে রেখেছে যেন।
এই জিম্মিদশার প্রচেষ্টা যে কতটা প্রকট তা স্পষ্ট হয়েছে গ্রীনলাইন পরিবহনের ওয়াটার ওয়েজের দিবা সার্ভিস চালু হওয়ার পর। এই জেলার উন্নতির স্বপ্ন দেখা কিছু মানুষের একান্ত প্রচেষ্টায় ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকা যাওয়ার এই দিবা সার্ভিসটি প্রচন্ড প্রয়োজনীয় এবং উপকারী একটি সার্ভিস। জনগণের চাহিদাও প্রচুর। তারপরও ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমদ যিনি নিরিহ জেলেদের চাল চুরি করার মত ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্ত তিনিসহ আরও কিছু পাতি নেতা লঞ্চ মালিকদের সাথে মিলে-মিশে গ্রীনলাইন বন্ধের জন্য এমন কোন পন্থা নেই যা অবলম্বন করছেন না। অপপ্রচার এবং ভুলভাল তথ্য দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করে মানববন্ধন পর্যন্ত করেছেন ওই ব্যক্তি। চালু হওয়ার পর সরাসরি বাধা দিচ্ছেন গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষকে। পুলিশ উপস্থিত থেকে যাত্রী উঠানামা করানো লাগতেছে গ্রীনলাইন ওয়াটার ওয়েজে। আমি তার সাথে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলেছিলাম সাংবাদিক হিসেবে। তার বক্তব্য শুনে অনেকটাই অবাক হয়েছি। যতসব আজগুবি এবং হাস্যকর পয়েন্ট দেখাচ্ছেন গ্রীনলাইন বন্ধের জন্য অথচ পুরোটাই যে তার ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ বিজনেস’ তা বুঝতে রকেট সায়েন্স লাগে না। এবং তিনি যে মূলত অন্য কারো হয়ে কাজ করছেন তাও বুঝা যায় ভালো করেই। একদিকে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় দেশ উন্নত হচ্ছে, আধুনিক হচ্ছে এই দিক দেখাচ্ছেন আবার অন্যদিকে তিনি নিজেই একটি আধুনিক নৌ-সার্ভিসের সরাসরি বাধা হয়ে দাড়াচ্ছেন। সরকারী সকল নিয়ম নীতি ফলো করে বৈধভাবে গ্রীনলাইন চালু করার পরও কিছু প্রভাবশালীদের ভয়ে পুলিশি পাহারায় ভোলা থেকে যাত্রী উঠানামা করানো লাগতেছে এটা খুবই লজ্জার বিষয় ভোলাবাসীর জন্য। এমনকি তিনি সবচেয়ে গুরুত্ব দেখিয়ে যে যুক্তিটা দেখাচ্ছেন তা হলো গ্রীনলাইন ওয়াটার ওয়েজ চলাচলের ক্ষেত্রে বড় ঢেউ তৈরি হয় যা ইলিশা রক্ষার ব্লক-বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ করবে! কিন্তু ভোলায় মেঘনার মত একটি উত্তাল ও বৃহত নদীতে চলাচল করা গ্রীনলাইন সার্ভিসের ঢেউ কতটা বড় হয়ে কুলে আছড়ে পড়বে তা অবশ্যই জরিপ করে তারপর বলতে হবে। এক্ষেত্রে নদী বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যও তার দাবির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাছাড়া বরিশাল থেকে ঢাকা আরও ছোট নদী পেরিয়ে গ্রীনলাইন নিয়মিত চলাচল করছে। এমনকি সেখানে এখন অ্যাডভেন্সার নামে আরও দুটি ওয়াটার ওয়েজ চালু হয়েছে। কিন্তু কোন জরিপ না করেই নৌ-মন্ত্রনালয় অনুমোদিত জনগণের জন্য একান্ত উপকারী ভোলার এই সার্ভিস বন্ধে তার ভূমিকা খুবই লজ্জাজনক।
মূলত ভোলা থেকে রাতের বেলা ঢাকা পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস যারা পরিচালনা করছে গ্রীনলাইনের দিবা সার্ভিস তাদের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি। আমি একটি হিসেব করে দেখেছি এই লঞ্চ মালিকরা প্রতিদিন আসা যাওয়ায় ১২০০ যাত্রী হারায়। কারণ গ্রীনলাইন স্বাভাবিকভাবে কোনদিনই খালি যায় না। পুরো ওয়াটার ওয়েজই যাত্রীতে পরিপূর্ণ থাকে। কারণ এটার প্রয়োজনীয়তা অপরিসিম। তারা প্রতিদিন ৬০০ যাত্রী নিয়ে যায় এবং ৬০০ যাত্রী নিয়ে আসে। প্রতি যাত্রীর ৭০০/১০০০ টাকা ভাড়া হারে যার অর্থনৈতিক অংক অনেক বড়। প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা দৈনিক হিসেবে মাসিক ৩ কোটি ষাট লাখ টাকা হারিয়েছে লঞ্চ মালিকরা। এত বড় টাকার অংকের লসের বিপরিতে তাদের বিরুদ্ধ-কার্যক্রমও যে বড় হবে তা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রয়োজনটা জনগণের। প্রতিযোগীতার এবং আধুনিকতার এই বাজারে ভালো সার্ভিস যারা দেবে জনগণ তাদেরটাই গ্রহণ করবে। লঞ্চ মালিকদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই বরং দীর্ঘকাল ধরে তারা এ অঞ্চলের মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং ব্যবসা করে যাচ্ছেন এজন্য তারা অবশ্যই প্রশংসা পাবার যোগ্য কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা পাল্টাবে এটাও মাথা রাখা উচিত। মাত্র চার ঘন্টায় দিনের বেলা ঢাকা যেতে পারছে ভোলার মানুষ এটা অনেকটাই স্বপ্নের মত ছিলো এই অঞ্চলের জনগণের জন্য। সেখানে তাদেরকে জিম্মি করে রাখার এই প্রবণতা খুবই খারাপ। এতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়। মানুষের কর্মঘন্টা থেকে নিয়ে মানুষের যোগ্যতা দেশের জন্য কাজে লাগানো যায় না। ভোলা জেলা থেকে আগে সর্বোচ্চ তিনটা লঞ্চ ঢাকায় যেত কিন্তু এখন ভোলা, চরফ্যাসন, মনপুরাসহ বিভিন্ন রুট থেকে প্রায় ১২ টা লঞ্চ ঢাকায় যায়। আরও বেশি হতে পারে। তারপরও তো কারও যাত্রীর অভাব হয় না। মানুষের কাজের চাহিদা বেড়েছে। কাজের প্রয়োজনে অসংখ্য মানুষকে রাজধানীতে যেতে হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য হাজার হাজার ছাত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম যাতায়াত করছে। তাই জাতীয় পর্যায়ের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি প্রয়োজন। সেখানে গ্রীনলাইন বন্ধের পায়তারা করার কোন যুক্তি থাকার কথা না। এমনকি দিনের বেলার এই সার্ভিস কেবল ভোলায় না বরং আরও বাড়িয়ে চরফ্যাসনের বেতুয়া থেকেও চালু করা উচিত।
ভোলা জেলা বর্তমানে বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময়ী জেলা। ৩,৪০৩.৪৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই জেলায় প্রায় ২০,৩৭,২০১ জন মানুষের বসবাস। ৯ টি থানা নিয়ে এই জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি থানার জেলা। আয়তনেও বাংলাদেশের সর্ববৃহত আয়তনের জেলাগুলোর একটি। আড়াআড়ি আকারে হওয়ার কারণে এই জেলা ভাগ করে চরফ্যাসন, মনপুরা, দক্ষিণ আইচা, দুলার হাট, শশিভূষণ থানা মিলিয়ে আর একটি জেলার দাবিও অনেক পুরণো। কারণ মনপুরা, দক্ষিণ আইচা, ঢালচর, চরফ্যাসন ইত্যাদি এলাকা থেকে জেলা শহরে কোন কাজ একদিনে শেষ করে আসতে পারাটা এক কথায় অসম্ভব কারণ প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পারি দিতে হয় জেলা শহরে কোন কাজের জন্য যেতে। সেক্ষেত্রেও যোগাযোগের অবস্থা খুবই খারাপ কারণ ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতি অনেকটাই কুক্ষিগত করে রেখেছে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাবস্থা। বিশেষ করে চরফ্যাসন থেকে ভোলা যাওয়ার বাস ব্যাবস্থাপনা খুবই বিরক্তিকর। প্রায় ৭০ কিলোমাটার লম্বা একটি মাত্র সড়কের যোগাযোগ অনেকটাই এই একটি মাত্র সংগঠন জোর করে দখল করে রেখেছে। অন্য কোন বাস সার্ভিস এখানে প্রবেশই যেন করতে পারে না। এমনকি তারাও কোন ভালো সার্ভিস দিতে রাজি নয়। জোড়াতালি দিয়ে কিছু ডাইরেক্ট বাস তারা পরিচালনা করলেও সেগুলোর সার্ভিস খুবই খারাপ। কেবল অর্থনৈতিক অতিরিক্ত মাত্রার লাভ-অর্জন করা ছাড়া কিছুই তারা দেখতে চায় না। কেউ একবার এখানে এলে বিরক্তিকর এই সার্ভিস দেখে দ্বিতীয়বার আর আসার চেষ্টা করে না। অথচ একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা এই চরফ্যাসন উপজেলা।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখানের এমপি মন্ত্রীদের একান্ত প্রচেষ্টায় ভোলা জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যাবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এক্ষেত্রে ভোলার কিংবদন্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জনাব তোফায়েল আহমেদ এবং দক্ষিণ ভোলার উন্নয়নের বরপূত্র হিসেবে পরিচিত জনাব আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করতে হবে। তাদের চেষ্টায় এই জেলার দুর দুরন্তের গ্রাম পর্যন্ত পাকা সড়ক এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পৌছে দিয়ে মানুষের জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। জীবনমানের উন্নয়নে এখানে বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়েছে বহুমূখি প্রকল্প এবং বেশকিছু মেগাপ্রজেক্ট। কিন্তু সিন্ডিকেটবাজীর কারণে জনগণ অনেক কিছুরই সুফল পাচ্ছে না। এই জেলায় এখন রয়েছে নিজস্ব গ্যাসফিল্ড। বোরহানউদ্দিনের শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ডসহ আরও কয়েক জায়গায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রায় ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ যাচ্ছে বরিশালে। এছাড়াও ভোলার বিভিন্ন অঞ্চল হতে পারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণস্পট। বিশেষ করে চরফ্যাসন একটি আদর্শ ভ্রমণস্পট হওয়ার যোগ্য। তাছাড়া এখানের কর্মজীবী মানুষ এবং উর্বর পলিমাটি বিধৌত কৃষিজমির মাধ্যমে এই জেলার একটি বড় অর্থনৈতিক ভিত্তি রয়েছে। তাছাড়াও যদি এখানে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানীর মিল কারখানা স্থাপন করাসহ ‘ইকোনোমিক জোন’ ঘোষণা করা যায় এবং এসবের জন্য এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট নিয়ম অনুসারে অবাধ সুযোগ তৈরি করে দেয়া যায় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই জেলা সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে পারবে এটাই বাস্তবতা। আরও রয়েছে দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর, মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদী। যেখানে রয়েছে বিশাল মৎস সম্পদের ভাণ্ডার। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ইলিশ আহরণ করা হয় ভোলা জেলা থেকে। সবদিক বিবেচনায় একটু আন্তরিক ভাবে চাইলেই এই জেলাকে একটি অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তৈরি করতে পারে সরকার।
কিন্তু বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপটির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও দেশের অন্য যে কোন শহর বা অঞ্চলের সাথে এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। সম্পূর্ণ সুযোগ থাকা সত্বেও দিনের বেলা এখান থেকে বের হয়ে ঢাকা বা কোথাও যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। ‘ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের একান্ত প্রচেষ্টায় গ্রীনলাইনের দিবা সার্ভিসটি চালু হওয়ার পর মানুষের সমস্যার সাময়িক একটি সমাধান এলেও সবাই আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছেন এই সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভেবে। কারণ কিছু প্রভাবশালী মহল তাদের অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধার জন্য এই গ্রীনলাইন সার্ভিস বন্ধের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি ভোলা থেকে লক্ষীপুর বা চট্টগ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রেও মানুষ নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। ভোলার ইলিশা থেকে মজু চৌধুরীর ঘাট পর্যন্ত চলাচল করা লঞ্চ সার্ভিসগুলো কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে নিয়ে ভালো সার্ভিস না দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে চলাচলে মানুষের ভোগান্তি এবং কষ্ট অসহনীয় পর্যায়ে আছে।
আধুনিক এই সময়ে এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন এদেশের মানুষ দেখছে ভোলা জেলাকে তার অবিচ্ছিন্ন সঙ্গ করে নেওয়া উচিত। এই জেলার মানুষকে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের সাথে বিশেষ করে বরিশাল বিভাগীয় শহর এবং ঢাকার সাথে অবাধ যোগাযোগের সকল ব্যাবস্থা করা উচিত। চট্টগ্রামের সাথেও সরাসরি যোগাযোগের জন্য আধুনিক ব্যাবস্থাপনা করা উচিত। অন্যান্য অঞ্চল থেকেও বিভিন্ন বিনিয়োগকারী বড় বড় কোম্পানী বা বিভিন্ন সংস্থাকে এই অঞ্চলে প্রবেশের অবাধ ব্যাবস্থা করা উচিত। এবং যারা এসব যোগাযোগ ব্যাবস্থার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে সতর্ক করে দেওয়া প্রশাসনিক এবং ক্ষমতাসীনদের দায়িত্বের মধ্যে পড়েই বলেই মনে করছি। বিশেষ করে ঢাকার সাথে যোগাযোগের এই গ্রীনলাইন সার্ভিসটি যাতে বন্ধ হয়ে না যায় সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরী।
লক্ষণীয় : আমার এই মতামত কলামটি কোন জাজমেন্টাল লেখা নয়। কারও প্রতি অভিযোগ দায়ের করাও আমার উদ্দিশ্য নয়। ভোলার সন্তান হিসেবে এই রুটগুলোতে আমার নিয়মিত চলাচল করতে হয় বলে আমি এখানের সমস্যাগুলো সম্পর্কে বুঝতে পারি এবং নিজে ভূক্তভোগী হয়ে আছি। আমার লেখাপড়া চট্টগ্রাম, পরিবার চরফ্যাসনে, চাকরি ঢাকায়, আত্বীয় স্বজনদের বড় একটা অংশ বরিশালে! যে কারণে এই জেলা থেকে বের হওয়ার প্রতিটি রুট সম্পর্কে আমার স্পষ্ট ধারণা আছে। তাই আমার প্রিয় এই জেলার সমস্যাগুলো যাতে সমাধান হয় এবং এর সুফল সবাই পায় সেদিকে সচেতন করতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আশা করি লেখাটা সেই দৃষ্টিতেই দেখবেন।
লেখক : হাছিব আর রহমান। শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। নির্বাহী সম্পাদক, পাবলিক ভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকম।