ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমেদ বলেছেন, সরকার কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়া রাজাকারের ভুল একটি তালিকা প্রকাশ করে৷ যা একটি দেশের সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছু নয়৷ স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৮ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকার এখনো পর্যন্ত স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের একটি নির্ভুল সূক্ষ তালিকা করতে সক্ষম হয়নি ৷ যা একটি দেশের প্রধান মন্ত্রীর নিকট লজ্জা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তিনি বলেন, এ অযোগ্য মন্ত্রী এমপিদের ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পূর্বের নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তাব্য করেন৷

তিনি বলেন দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না৷ জনগণ আপনাদের অবস্থা ভালো করে জানে ৷ এদেশের মানুষ আর অযোগ্যদের ক্ষমতায় দেখতে চাইনা৷ এদেশের কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষ এ ধরনের উন্নয়ণের জোয়ার দেখতে চাই না ৷ তারা নিরাপদে বাস করতে চাই, শান্তিতে থাকতে চাই৷ নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই৷ তাই এদেশের মানুষ সংগ্রামের মাধ্যমে জালিম সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷

নগর সম্মেলনে সভাপতি মাহদী হাসানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আল জাওহারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম হাছিবুল ইসলাম।

প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এম হাছিবুল ইসলাম বলেন বর্তমানে দেশের ক্যাম্পাস গুলো আজ সন্ত্রাসী আড্ডাখানায় নিমজ্জিত৷ ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের নিকট দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়৷ যে কোন সময় হামলার আশঙ্কায় থাকতে হয়৷
ক্যাম্পাস গুলোর সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ইশা ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদেরকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান৷

নগর সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আলহজ্ব আব্দুর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য আলহজ্ব এমদাদুল ফেরদৌস সহ নগরের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷

ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস