ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
অবশেষে রাজধানীতেও চলে এসেছে শীত। বুধবার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে কাবু হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঠাণ্ডায় জড়োসড়ো হয়ে পড়েছেন পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষরা শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন।
আর শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে তারা যাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। ধুলা আর কুয়াশায় চারপাশে শীতের আবহ তৈরি হয়েছে। শীতকাল বেশ কয়েক দিন আগে শুরু হলেও গতকাল পর্যন্ত রাজধানীবাসী কম্বল কিংবা কাঁথা বের করার কথা ভাবেননি। কিন্তু আজ শীত জেঁকে বসায় একদিনেই পোশাকে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়, আকাশ অধিকাংশ মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
সন্ধ্যার পর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। এরইমধ্যে বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আগেও যেখানে হালকা গরম কাপড় গায়ে নগরবাসী ঘুরে বেরিয়েছে সেখানে ২৪ ঘণ্টা পর গরম কাপড় গায়ে দিয়ে, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে কিংবা শীতের কাপড়ের জন্য মার্কেটে ছুটতে হচ্ছে।
এদিকে, আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এ মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।
এ মাসের শেষ দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে জানুয়ারিতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
আই.এ/