
মারুফ মুনির, পাবলিক ভয়েস: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকা নিয়ে যেন বিতর্কের শেষ নেই। একটার পর একটা চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসছে খানিক পর পর। তালিকায় অনেক নাম-ডাক থাকা মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকলেও নাম ওঠেনি আদালত কর্তৃক দণ্ডিত আলোচিত সামালোচিক রাজাকারদের নাম।
এই তালিকায় আছে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ আলোচিত অনেকের নাম। জামায়াতের অধিকাংশ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী নেতাদের নাম বাদ পড়লেও গোলাম আযমের নাম এসেছে পাঁচবার। এছাড়াও অনেক চিহ্নিত রাজাকারের নাম তালিকায় আসেনি।
অথচ তালিকায় রাজাকার হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রধান কৌসুলি প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নাম পর্যন্ত এসেছে। এসেছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের স্বজনসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নামও।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারের এই তালিকায় প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপের এই তালিকায় ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয় রাজাকার হিসেবে। যেখানে প্রত্যেকের নাম ঠিকানার পূর্ণ বিবরণ ছিলো। কিন্তু ছিলো না কার কী অপরাধ সে বিষয়ক কোনো বর্ণনা। এ নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি। যদিও শেষ পর্যন্ত এই তালিকা প্রত্যাহার করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও যোদ্ধা পরিবারের স্বজনদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেছেন। এবং এই তালিকা সংশোধনের নির্দেশননার কথাও জানিয়েছেন।
সঠিক তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকারের তালিকায় রাখা যাবে না, এটা অসম্ভব। যার পরিবারের মানুষ শহীদ হলো, সে পরিবারের সদস্যদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসলে দুঃখের সীমা থাকার কথা না।
/এসএস