
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিতর্কিত রাজাকারদের তালিকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে এই ঘটনায় নিজের দায় আছে বলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যে তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে পাকিস্তানি আমলে পাকিস্তানি শাসকরা যে তালিকা করেছিলো তা মিলিয়ে ফেলে গোলমাল করে ফেলেছে। খুব খারাপ একটি কাজ হয়ে গেছে। যার পরিবারের মানুষ শহীদ হলো, সে পরিবারের সদস্যদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসলে দুঃখের সীমা থাকার কথা না। সরকার প্রধান হিসেবে আমারও দায় আছে, আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
‘এই তালিকা রাজাকারের তালিকা না‘ উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আমাদের কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয়, জাতির কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। কিন্তু যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে তা ভুল। এটা অজ্ঞতাপ্রসূত, ঠিক করে দেয়া হবে।
মুক্তিযোদ্ধা ও যোদ্ধা পরিবারের স্বজনদের ধৈর্য্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাজাকারের তালিকা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় তালগোল পাকিয়েছে। কী করে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ঢুকলো তা রহস্যের ব্যাপার। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় চলে যাওয়া খুব খারাপ কাজ হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সাজা দেয়া হবে।
সঠিক তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকারের তালিকায় রাখা যাবে না, এটা অসম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আওয়ামী লীগের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পাকিস্তান সরকার, যে তালিকা ধরে সাজা দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। পাকিস্তানের করা তালিকা নিয়ে গোলমাল হতো না যদি না জিয়া, এরশাদ তা ব্যবহার না করতো।
/এসএস